বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে- আমিনুল


নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন মানে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় উৎসব মুখর নির্বাচনী পরিবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হউক। সেক্ষেত্রে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফা রুপরেখার বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিপূর্ণ সংষ্কার হবে।
মঙ্গলবার (১৭জুন) বিকালে পল্লবীর কালশী মোড়ে স্ট্যান্ডার্ড পিপলস জেনারেল রিহ্যাবলিটেশন কমিটি কূর্মিটোলা শাখা (এসপিজিআরসি) ও উর্দূভাষী যুব ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ২০১৪ সালের ১৪ জুন কালশীর উর্দূভাষীদের কূর্মিটোলা ক্যাম্পের ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের ১১ বছর উপলক্ষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে এদেশের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশে গত ১৭ বছর যে স্বৈরাচার ছিল-ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশী হিসেবে সকলে একসাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে। যেভাবে আমরা সকলে স্বাধীন ভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারব।
২০১৪ সালে কালশীর উর্দূভাষীদের কূর্মিটোলা ক্যাম্পের ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে, যারা এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে- দ্রুত সময়ের ভিতরে তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
উর্দুভাষী বিহারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মীসহ এদেশের সাধারণ মানুষ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনকে নিশ্চিত করার জন্য আমরা আপনারা সকলে একসাথে কাজ করেছি। আপনারা সকলেই একজন বাংলাদেশী। আমি আপনাদেরকে আলাদা করে দেখতে চাই না। আপনারা আমার পরিবারের একেক জন সদস্য। আপনাদের সুখে দুঃখে সবসময় আমি আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনাসহ তার দোসররা যারা গত ১৭ বছর আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, গুম করছে, খুন করেছে। গত ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে যারা আমাদের ছাত্র ভাইদেরকে হত্যা করেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছে এবং এদেশের সাধারণ মানুষদেরকে হত্যা করেছে- সেই প্রত্যাকটি আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেত্নাতা ও তাদের দোসরদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
হত্যাকান্ডের ১১ বছর পর নিহত ১০ জনের মধ্যে তাদের পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য ফারজানার ভরনপোষণের সকল দায় দায়িত্বও গ্রহণ করেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক।
এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এসপিজিআরসি কুর্মিটোলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন ফাক্কু, কুর্মিটোলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী বাবলু, কুর্মিটোলা শাখার সহসভাপতি মঈনুদ্দিন হোসেন মুন্না প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
বিশেষ একটা দলকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে: নুর
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা পক্ষপাতদুষ্ট …

নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান মজিবুরের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) …

শেখ হাসিনা ইচ্ছে মতো ইতিহাস ও পাঠ্যবই রচনা করেছিল: রিজভী
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ …
