• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির একাধিক, অন্যদলের একক প্রার্থী

   ২০ জুন ২০২৫, ১১:৫৬ এ.এম.
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের রাজনীতিতে যুগের পর যুগ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। মাঝে আওয়ামী দুঃশাসনে সেই ঐতিহ্যে ছেদ পড়ে। ভোটাধিকার বঞ্চিত হয় জনগণ। জুলাই বিপ্লবের পর রাজধানীর উপকণ্ঠের এই জেলায় ফিরেছে ভোটের আমেজ। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে অভ্যুত্থানপন্থি সব রাজনৈতিক দল। এরই অংশ হিসেবে দলীয় টিকিট পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটিতে প্রায় সবাই নতুন মুখ। এই সুযোগে তিন দশক পর রেওয়াজ ভাঙতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি একজন করে প্রার্থী আগেই চূড়ান্ত করায় ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে ভোটের মাঠে।

মুন্সীগঞ্জের ছয় উপজেলা নিয়ে গঠিত তিনটি আসন। একেকটি আসনের বিপরীতে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্তত তিনজন করে নেতা। তারা মাঠে প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি তাকিয়ে আছেন উপরের দিকে— দল কাকে পছন্দ করে সেই অপেক্ষায় দিন কাটছে তাদের। তবে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে পরিবর্তনের আশায় বুক বাঁধছে সাধারণ মানুষ। তাদের প্রত্যাশা— একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমিক ও দুর্নীতিমুক্ত মানুষই তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীরা ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে জেলা সমন্বয়ক কমিটি গঠন ছাড়াও মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ী ও সিরাজদিখান—এই তিনটি উপজেলা সমন্বয়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন করতে পেরেছে। বাকি তিনটি উপজেলা কমিটি গঠন শেষে মুন্সীগঞ্জ-১ ও ৩-এ দুটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। তবে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে জেলা সমন্বয়ক মাজেদুল ইসলাম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা করছেন। জাপা (এরশাদ), গণঅধিকার পরিষদ, বামদলসহ অন্য ইসলামী দলগুলোর নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো তৎপরতা এখনো লক্ষ করা যাচ্ছে না।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলার চারটি সংসদীয় আসন ছিল। এসব আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, এম কোরবান আলী, ড. মিজানুর রহমান শেলী, আমিনুল ইসলাম, আবদুল হাই, মিজানুর রহমান সিনহার মতো হাইপ্রোফাইল নেতারা প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জেলাটির আসন সংখ্যা চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করা হয়। এতে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ অনেকটা পাল্টে যায়।

এ ছাড়া দশম থেকে দ্বাদশ— এই তিনটি সংসদ নির্বাচনে ছলচাতুরি, প্রহসন, বিনা ভোট ও ডামি প্রার্থীর কারণে স্বাভাবিক রাজনীতির ছন্দপতন হলে এই প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা হারিয়ে যেতে থাকেন। ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল হাই জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ায় সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহাকে মুন্সীগঞ্জ জেলার আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ নেতাদের সবাই ইহলোক ত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা, সফল ব্যবসায়ী মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় দলের শীর্ষ পর্যায়ে তদবিরের পাশাপাশি এলাকায় জনগণের কাছে ছুটছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা তিন মাস আগে থেকেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে নির্বাচনী নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের আমলে ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনী আসনের সীমানা বিন্যাস বাদ যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে। এ কারণে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে জেলার আসনসংখ্যা একটি বাড়িয়ে আবার চারটি করা হলে এলাকাভিত্তিক প্রার্থিতা পরিবর্তন হবে। সেই সঙ্গে জেলার ভোটের হিসাব-নিকাশও পাল্টে যাবে—এটা প্রায় নিশ্চিত।

মুন্সীগঞ্জ-১ আসন (শ্রীনগর-সিরাজদিখান)

শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য শেখ মো. আব্দুল্লাহ মনোনয়ন লাভের আশায় ব্যাপক গণসংযোগ, উঠান বৈঠক করছেন। জেলার তিনটি আসনের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার সবার দৃষ্টি কেড়েছে। একই সঙ্গে বিএনপির আলোচিত এই দুই প্রার্থীর পৈত্রিক বাড়ি পৃথক দুটি উপজেলায় বিধায় নেতাকর্মীদের মধ্যে আংশিক বিভক্তি দেখা দিয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি মীর সরফত আলী সপু ছাত্রজীবন থেকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং স্থানীয় রাজনীতিতে নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। আল মুসলিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি শেখ মো. আব্দুল্লাহ এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং নেতাকর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে এলাকায় সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি দল আমাকে নিরাশ করবে না। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারি ও সিরাজদিখানের ইসলামপুর কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক একে এম ফখরুদ্দিন রাজীকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন প্রাপ্তির পর থেকে জামায়াতের অপেক্ষাকৃত নবীন এ প্রার্থীর নেতা-কর্মী ও অনুসারীরা বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করছেন। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াতের প্রার্থীরাও ভোটারদের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে বদরুদ্দোজার ছেলে মাহী বি চৌধুরী মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে জয়লাভ করেন। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে চরম ভরাডুবি হয় তার। এরপর থেকে মাহী নিজেকে গুটিয়ে নেন।

মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গীবাড়ী)

পদ্মা নদীর ভাঙনকবলিত উপজেলা লৌহজং-টঙ্গীবাড়ীর অনেক পরিবার ভিটে-মাটি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তবে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট দানের জন্য ঠিকই এলাকায় ছুটে আসেন। মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম তিন সদস্য মনোনয়ন লাভের আশায় গণসংযোগ করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অপেক্ষাকৃত প্রবীণ ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহা, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা ড. এসএম আসাদুজ্জামান রিপন।

সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সিনহা ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি বিএনপির সব পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। এর আগে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নে মুন্সীগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হন। ২০০৮ সালে একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ ১৯৭৮ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক পথচলা শুরু করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের পাশে থেকেছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী জামানার পতনের পর এলাকায় জনসভা, পথসভা করে বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান রিপন মাদকবিরোধী গণসমাবেশ, মানববন্ধন, নাগরিক সমাবেশ করে সারা দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, নদী শাসন করা ও লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্ট নির্মাণসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে চেষ্টা করছেন।

জেলার গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক ফজলুল করিম ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ কারণে সংসদীয় এ আসনে তার পরিচিতি রয়েছে। পাশাপাশি ঈদুল আজহায় দীর্ঘ ছুটিতে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে সাংগঠনিক সফর ও গণসংযোগ করেছেন। এ কারণে স্থানীয় ভোটারদের কাছে আস্থা অর্জন করতে পারেন তিনি।

এ ছাড়া সদ্য গঠিত এনসিপির জেলা সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক মাজেদুল ইসলাম এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বেশকিছু সাংগঠনিক সভা করলেও এখনো গণসংযোগ শুরু করতে পারেননি।

মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর-গজারিয়া)

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচনের তৎপরতা ও ফলাফল পুরো জেলায় প্রভাব ফেলে। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল হাইয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। গণমানুষের নেতা হিসেবে এবং জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে তার জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। গত কয়েক বছর তিনি অসুস্থ ও শয্যাশায়ী হওয়ায় তার ছোট ভাই মহিউদ্দিন আহমেদ বিএনপির হাল ধরেন। অতিসম্প্রতি মহিউদ্দিন আহমেদকে জেলা বিএনপির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী। এই আসনে মহিউদ্দিন ছাড়াও বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থীরা হলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন পুস্তি।

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সুজন শরীফকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার পক্ষে সংগঠনের দায়িত্বশীল কর্মীরা প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। অধ্যাপক ইউসুফ এবারই প্রথম এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের ভোটার ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর খাঁন বলেন, ‘প্রতিটি আসনে ক্লিন ইমেজের, সৎ, শিক্ষিত, দলীয় নীতি-আদর্শের প্রতি অনুগত সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া উচিত, নইলে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া নতুন এ স্বাধীনতার সুফল আপামর মানুষ ভোগ করতে পারবেন না।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রবীণ দলীয় কর্মী ‘তাহের ঠাকুর’-এর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
প্রবীণ দলীয় কর্মী ‘তাহের ঠাকুর’-এর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করুন- আলাল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করুন- আলাল
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পাশে দাঁড়াল বিএনপি
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পাশে দাঁড়াল বিএনপি