হবিগঞ্জ এনসিপির কমিটিতে মাদককারবারি, আ. লীগ ও জাপা নেতাকর্মীরা


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ জেলায় নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কমিটি নিয়ে দলে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বর্তমান বা সাবেক নেতাকর্মী। এতে এনসিপির লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। গত ১৫ জুন এ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয়রা বলেছেন, এই কমিটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না হয়ে পুরোনো দলবাজি ও সুবিধাভোগীদের জন্য আরেকটি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, গণঅধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কৃত নেতা মাহবুবুল বারী চৌধুরী মুবিনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সদস্য করা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমিটিতে রয়েছেন লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ২০১৬ সালে করাব ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী কামাল আহমেদ, চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নোমান এবং একই উপজেলার যুবলীগ নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল করিম। এছাড়া সদস্য হয়েছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন। তিনি স্থানীয়ভাবে মদের ব্যবসার সাথে জড়িত বলে পরিচিত। ফলে তিনি পাট্টা নাসির নামেও এলাকায় পরিচিত। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলাও করেছেন এক জামায়াত নেতা।
কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বাহুবল উপজেলার জাতীয় পার্টির নেতা আ খ ম উস্তার মিয়াও। যিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি আবু জাহিরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, এই বিতর্কিত কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই না করা এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের সম্ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের স্বাক্ষরে কমিটি অনুমোদনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলীয় ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক পলাশ মাহমুদ বলেন, ‘এই কমিটি জুলাই চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। মনে হচ্ছে, আর্থিক বিনিময়েই এমন একটি বিতর্কিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কমিটির সদস্য হিসেবে নাম আসা হারুন আল রশিদ বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে কমিটিতে নাম দেওয়া হয়েছে। আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, এনসিপিতে যুক্ত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী সামির সাকিব বলেন, ‘যারা এনসিপির প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মী, তাদের বাদ দিয়ে ফ্যাসিবাদী দোসরদের পুনর্বাসন করা হয়েছে এই কমিটিতে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা না করে, তাহলে তারা নতুন রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছিল, তা অচিরেই হারিয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রোববার দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে একাধিকবার ফোন করা হলেও এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফোন রিসিভ করেননি।
তবে নবগঠিত জেলা কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক নাহিদ উদ্দীন তারেক বলেন, ‘কমিটিতে যাদের নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তারা হয়তো কোনো এক সময় অন্য রাজনৈতিক দলে ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন এবং এনসিপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে যোগ দিয়েছেন। কাউকে জোর করে কমিটিতে আনা হয়নি।’
ভিওডি বাংলা/এম
শাপলা প্রতীক গণমানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত : হাসনাত
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (দক্ষিণাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ …

নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে দেশ : আমীর খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির …

শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানিয়েছে আমলারা : আবদুস সালাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবদুস সালাম …
