ত্রাণকেন্দ্রে গুলিতে গাজায় ৭৯ জন নিহত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার আকাশে আগুন, মাটিতে হাহাকার—এ যেন এখন এক চেনা দৃশ্য। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৯ জন। এর মধ্যে ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ত্রাণের আশায় লাইনে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষ প্রতিদিন যে দুঃসহ ঝুঁকি নিচ্ছেন, তা আর শুধু মানবিক সংকট নয়—এটা যেন জীবন-মৃত্যুর তামাশায় পরিণত হয়েছে।
বিশেষ করে মধ্য গাজার সালাহ আলদির সড়কে যুক্তরাষ্ট্র-প্রতিষ্ঠিত ত্রাণ সংস্থা জিএইচএফ–এর এক বিতরণকেন্দ্রের সামনে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১৪০ জন, যাঁদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। খান ইউনিস, গাজা সিটি ও রাফায়ও ত্রাণ বিতরণের সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন আরও অনেকে।
অবশ্য এ চিত্র নতুন নয়। চলতি মাসজুড়েই গাজার মানুষের ত্রাণ সংগ্রহের চেষ্টাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক মাসে ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৫০০ জনের বেশি, আহত হয়েছেন প্রায় চার হাজার।
৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের চালানো অভিযানে প্রাণ গেছে ৫৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি। শুধু মার্চের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ।
মানবিক বিপর্যয়ের এই চিত্রে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘ত্রাণের জন্য গুলি’ নামক নির্মম বাস্তবতা। যেখানে এক মুঠো খাবারের আশায় দাঁড়ানো মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে অস্ত্রের মুখে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে আরও তিনজনের মৃত্যুদণ্ড …

ইসরাইলের ঘোষণায় মৃত কমান্ডার তেহরানে জীবিত!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তেহরানে এক অনুষ্ঠানে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) …

পুতিনের সহযোগিতার প্রস্তাবে সাড়া দেননি ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরান-ইসরাইল সংঘাত বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পকে …
