প্রশ্নবিদ্ধ ‘জুলাইযোদ্ধা’ সাইফুদ্দিনের মামলা


আদালত প্রতিবেদক
গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে গুলিবিদ্ধ হওয়ার দাবি করেছেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার এক মাদরাসাছাত্র সাইফুদ্দিন এমদাদ। এই ঘটনায় তিনি নিজে এবং তার পক্ষ হয়ে আরেকজন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন, একটি ঢাকায়, অন্যটি চট্টগ্রামে। তবে একই সময়ে দুই শহরে তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন এই প্রশ্ন ঘিরে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
গত বছরের ৪ ও ৫ আগস্টের ঘটনায় এরই মধ্যে হত্যাচেষ্টা ও সহিংসতার অভিযোগে বেশ কিছু মামলা হয়েছে। ১৭ জুন চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাইফুদ্দিন এমদাদ একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তিনি নিজেকে ‘জুলাইযোদ্ধা’ বলে পরিচয় দেন। মামলায় ১৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন দেশের বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক।
চট্টগ্রামের মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট সকালে নিউমার্কেট এবং ৫ আগস্ট ওয়াসা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখ হারান এমদাদ।
কিন্তু এর আগে, ২০ মার্চ ঢাকার আদালতে ঠিক একই অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়, যেখানে আসামি ২০১ জন। মামলাটি দায়ের করেন সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল হাশেম রাজু, যিনি জানান ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট সকাল ১১টায় পরীবাগ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এমদাদ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে একই দিনে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দুই শহরে একজন ব্যক্তি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হতে পারেন?
এ বিষয়ে সাইফুদ্দিনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঢাকার মামলার বাদী রাজু দাবি করেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ভিত্তিতেই তিনি মামলা করেছেন।
রাজু বলেন, একজন ব্যক্তি আমাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে মামলা করার অনুমতি দেন। তবে যদি তিন মাস পর সেই ব্যক্তি নিজেই আলাদা মামলা করেন, সেটার দায় আমার নয়।
উভয় মামলাতেই রয়েছে বেশ কিছু অসঙ্গতি। উদাহরণস্বরূপ, দুটি মামলায় সাইফুদ্দিনের ঠিকানা ভিন্নভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে তার দাবিগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখছেন ‘জুলাই আন্দোলন’ সংশ্লিষ্ট অনেকে। জুলাই আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রিজাউর রহমান বলেন, জুলাইকে বিতর্কিত করার যেকোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নেব, সে চেষ্টা যতই হোক না কেন।
আরেক সাবেক সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, একই ব্যক্তি ঢাকায় ও চট্টগ্রামে একই অভিযোগে মামলা করেছেন। এতে নিরপরাধ অনেক মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
মানবাধিকার আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বলেন, এই ব্যক্তিকে ব্যবহার করে একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিচিত ব্যক্তিদের হয়রানি করছে। শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে মামলা করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা হতে পারে। প্রশাসনের উচিত এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে অসত্য প্রমাণিত হলে বাদীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, যে সময় ও স্থানের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সেসময় তিনি আদৌ সেখানে ছিলেন কি না, তা আমরা যাচাই করব। পেনাল কোড ২১১ অনুযায়ী, মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, এমদাদের গ্রামের বাড়ি সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া এলাকায়। ঢাকায় দায়ের করা মামলায় ইতোমধ্যেই কয়েকজন আসামিকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বাদ দেয়া হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমপি
ফের ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা
আদালত প্রতিবেদক
দিনের ভোট রাতে করা ও জনগণকে ভোটাধিকার থেকে …

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মেয়র আইভী
আদালত প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ও জেলা …

নির্বাচনে শেখ মুজিবও কারচুপি করেছিলেন: সাবেক সিইসি আওয়াল
আদালত প্রতিবেদক
রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের অভিযোগে শেরে বাংলা নগর …
