• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ৮৫তম জন্মদিন আজ

   ২৮ জুন ২০২৫, ১০:৫১ এ.এম.
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি- পিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আজ ৮৫তম জন্মদিন।  তিনি ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীর বথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দুলা মিঞা সওদাগর ও মা  সুফিয়া খাতুন। তার স্ত্রী অধ্যাপক দিনা আফরোজ। ড. ইউনূসের দুই মেয়ে রয়েছেন। 

প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টার ছবি শেয়ার করে ওই পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন, স্যার। আপনার সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য আমার জীবনের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’

ড. ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেন। নোবেল ছাড়াও তিনি বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হন।

ড.ইউনূস পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের কলিজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার ছাত্রের মধ্যে ১৬তম স্থানলাভ করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক শেষ করার পর ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি।

ড. ইউনূস ১৯৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ লাভ করেন। ১৯৭১ সালে ভান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের মার্সিসবোরোতে মিডিল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি নাগরিক কমিটি গঠন করেন এবং অন্যান্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করতে ‘বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার’ পরিচালনা করেন।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের সময় ড. ইউনূস দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করেন। সেই সময় তিনি গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৬ সালে পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পটি চালু করেন। ১৯৮৩ সালে এই প্রকল্পটি ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ হিসেবে রূপান্তরিত হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ গ্রামে এর কর্মকাণ্ড বিস্তৃত। বাংলাদেশের বাইরেও আমেরিকাসহ গ্রামীণ ব্যাংক পদ্ধতি বিশ্বের ৪০টি দেশে অনুসারী করা হচ্ছে। ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারসহ দেশি ও বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন তিনি। 

২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। 

২০২৪ সালে জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকায় চলবে ই-রিকশা
আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকায় চলবে ই-রিকশা
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলছে
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলছে
প্রাণীর যেন কষ্ট না হয় এজন্যই আমরা ভ্যাকসিন দেব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রাণীর যেন কষ্ট না হয় এজন্যই আমরা ভ্যাকসিন দেব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা