• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন- তেনজিং

   ৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৩ পি.এম.
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং। ছবি- ভিওডি বাংলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর সংযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) তারিকুল আলম তেনজিং বলেছেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির গণজাগরণে মিরপুর ও কাফরুলে বিএনপির তৃণমূল নেতারা যেমনভাবে সক্রিয় ছিলেন, ঠিক তেমনভাবেই সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। দুঃসময়ে যারা আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন সেই সব পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই আজ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত নাম। বিশেষ করে মিরপুর-২, মিরপুর-৬, রূপনগর, শাহআলী, কাফরুল, কালশী এই এলাকাগুলোতে যেসব সাহসী নেতাকর্মী নির্যাতনের মুখে থেকেও দলকে আগলে রেখেছেন, তারা আজও কর্মীদের প্রেরণার উৎস। বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের মাঠে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন এমন কর্মীরা এখন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

শুক্রবার (৪জুলাই) ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসন (কাফরুল-মিরপুর) উদ্যোগে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচি মিরপুর-১০ থেকে শুরু করে সেনপাড়া, কাজীপাড়া, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত এবং সর্বশেষ রজনীগন্ধা টাওয়ারে গিয়ে শেষ হয়।

তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের পক্ষে রায় দেবে। আজ যারা আলোচনায় রয়েছেন অনেকেই আগে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ছিলেন না। কিন্তু বিএনপির পক্ষে কথা বলা, রাজপথে থাকা, আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে সাধারণ জনগণের ভালোবাসা তাদের প্রতি তৈরি হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মিরপুর ও কাফরুলে বিএনপির রাজনীতির যে শক্ত ভীত তা আজ আরও বিস্তৃত হচ্ছে। বিশেষ করে যারা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন তারা এখন নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠছেন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা মাঠে আছেন, তারা কেবল বিএনপির নেতাকর্মী নন তারা জনগণের অধিকার আদায়ের সৈনিক।

তেনজিং বলেন, মিরপুর-কাফরুলের গলিপথ থেকে রাজপথ সবখানে আজ একটি স্লোগান শোনা যায় জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দাও। এই আন্দোলনের সামনের সারিতে যাদের দেখা যাচ্ছে, তারা তৃণমূলের পরীক্ষিত সৈনিক এমনকি কেউ কেউ কারাবরণ করেছেন, কেউ হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা তাদের শক্তি দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অংশ নেবে না এটাই তাদের স্পষ্ট বক্তব্য। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার বলেছে এই আন্দোলন কেবল নেতৃত্বের পরিবর্তনের নয়, এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই। আর এই লড়াইয়ের আসল শক্তি মিরপুর, কাফরুলসহ বাংলাদেশের প্রতিটি থানার তৃণমূল কর্মীরা। তাদের সাহস, তাদের আত্মত্যাগ, এবং জনগণের ভালোবাসা নিয়েই বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের দিকে।

তিনি বলেন, সামনে কঠিন সময় আসছে কিন্তু এই সাহসী কর্মীবাহিনীই হবে জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রাজপথে ইতিহাস গড়ার মূল শক্তি।

ভিওডি বাংলা/ জিতু/ এমপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গ্রিন সিগন্যালেই মনোনয়ন !
গ্রিন সিগন্যালেই মনোনয়ন !
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে শহীদ মিনারে ঘোষণার আহ্বান পাটোয়ারীর
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে শহীদ মিনারে ঘোষণার আহ্বান পাটোয়ারীর
২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত তাণ্ডব দিয়ে হাসিনার ফ্যাসিবাদী যাত্রা শুরু হয়
২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত তাণ্ডব দিয়ে হাসিনার ফ্যাসিবাদী যাত্রা শুরু হয়