• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বই পড়ে, গান গেয়ে সময় কাটছে ভিআইপি বন্দিদের

   ৬ জুলাই ২০২৫, ১১:১০ এ.এম.
বিশেষ কারাগারে ভিআইপি বন্দিদের কয়েকজন। ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে চালু হওয়া ‘বিশেষ কারাগারে’ সময় কাটছে ভিন্ন আমেজে। কারাগারের পাঠাগার থেকে বই নিয়ে পড়ছেন কেউ, আবার কেউ গলা ছেড়ে গান গেয়ে পার করছেন সময়। প্রায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠা ভিআইপি বন্দিদের জীবনযাত্রা এখন অনেকটাই নিয়মিত।

গত ২১ জুন চালু হওয়া এই বিশেষ কারাগারে প্রাথমিকভাবে ৫০ জন সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সরিয়ে আনা হয়েছে। ধাপে ধাপে এখানে রাখা হবে ২৫০ জন ভিআইপি বন্দি।

এই বিশেষ কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাধন চন্দ্র মজুমদার, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, সালমান এফ রহমান, এ বি এম তাজুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেনসহ আরও অনেক সাবেক মন্ত্রী ও এমপি। রয়েছেন সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব কামাল নাসের চৌধুরী, সাবেক এএসপি জাবেদ ইকবালসহ অনেকে।

কারা সূত্র জানায়, বন্দিরা বড় পাঠাগার থেকে নিজেদের পছন্দমতো বই সংগ্রহ করে পড়ছেন। কেউ পড়ছেন আইনের বই, কেউ মনীষীদের জীবনী। কেউ কেউ গুনগুন করে গানও গাইছেন। ইসলামি বইয়ের চাহিদাও রয়েছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা নিয়মিত পত্রিকা পড়ছেন।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় হাঁটার সুযোগ পান তারা। একে অন্যের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও করতে পারেন। এছাড়া সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্বজনদের সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে দেখা-সাক্ষাৎ চলছে।

কারাগারটিতে রয়েছে উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি কারারক্ষী ব্যবহার করছেন বডি ক্যামেরা। কারাগারের প্রতিটি অংশ সিসি ক্যামেরা ও এআই নজরদারির আওতায়। বন্দিদের সঙ্গে কারা রক্ষীদের কথাবার্তাও রেকর্ড হচ্ছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সঙ্গে সঙ্গে বদলি করা হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

কেরানীগঞ্জের এই ভবন মূলত মহিলা কারাগার হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতায় পরিবর্তন এনে এটিকে ‘বিশেষ কারাগারে’ রূপান্তর করা হয়। ২০১৬ সালে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সরিয়ে আনার পর এখানে পুরুষ ও মহিলা কারাগারের ভবন তৈরি হয়। যদিও নারী রক্ষীর অভাবে মহিলা কারাগার চালু হয়নি।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন জানান, “বিশেষ কারাগারে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সামান্য ত্রুটিতেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

বিশেষ এই কারাগারে বন্দিরা নানা বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় কিছু বন্দি আক্ষেপ প্রকাশ করলেও, কারা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে— নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র চলমান: উপদেষ্টা আদিলুর
ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র চলমান: উপদেষ্টা আদিলুর
চট্টগ্রাম জশনের জুলুসে লাখো জনতার ঢল
চট্টগ্রাম জশনের জুলুসে লাখো জনতার ঢল
তীব্র গরমে জনজীবনে অস্বস্তি, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
তীব্র গরমে জনজীবনে অস্বস্তি, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা