• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
প্রগতি লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী গুনাগরী সার্ভিসিং সেল কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক উন্নয়ন সভা শেরপুরে বিজিবির ভারতে পাচারকালে ৬৩ কেজি শিং মাছ জব্দ বাকৃবিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার জুলাই ৩৬ হলের ১৫ ছাত্রী ফুলবাড়ীতে  চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে  কিশোরী ও অভিভাবক সমাবেশ গোয়ালন্দে জুয়ার আসর থেকে ৮ জন গ্রেপ্তার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের দায় সরকার এড়াতে পারে না শিবির জাতীয় সংগীত মানে না, তাই ঐক্য অসম্ভব : নাছির দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থানে আনতে একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা রাজবাড়ীতে ওয়ারেন্টভুক্ত ছয় আসামি গ্রেপ্তার

বরিশালে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, বিপাকে সহস্রাধিক প্রশিক্ষনার্থী

   ৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৫ পি.এম.
বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে

বরিশাল প্রতিনিধি

সুনির্দিষ্ট কোন কারণ না দেখিয়ে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে কালচারাল কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশগুপ্ত। এতে করে  সহস্রাধিক শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক চর্চা বঞ্চিত হচ্ছে। শিল্পকলার প্রশিক্ষকদের সাথে এই কর্মকর্তা ব্যক্তিগত মতানৈক্য হওয়ায় সরকার নির্ধারিত কার্যক্রম বন্ধ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে । 

গত ৩০ জুন জেলা কালচারাল কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশগুপ্ত সাক্ষরিত দুই লাইনের একটি নোটিশে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয় সাময়িক সময়ের জন্য এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে কবে নাগাদ পুনরায় চালু হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। 

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কালচারাল কর্মকর্তা হাসানুর রশীদ শিল্পকলায় নিযুক্ত ১২ জন প্রশিক্ষকের ২০২৪-২৫ সালের চুক্তিনামা নবায়ন করতে পারেনি। তবে প্রশিক্ষকবৃন্দ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন এমনকি কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছেন নবায়নের জন্য। বর্তমান কালচারাল কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশগুপ্ত ১২ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহনের পর চুক্তি নবায়নের জন্য তাকেও অনুরোধ করনে প্রশিক্ষকবৃন্দ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ৩০ জুন নোটিশ দিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন তিনি। 

প্রশিক্ষকবৃন্দ জানিয়েছেন, কালচারাল কর্মকর্তা তার পছন্দের ব্যক্তিদের প্রশিক্ষক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করতেই তাদের বাদ দিচ্ছেন। কালচারাল কর্মকর্তা ব্যক্তি পছন্দের এমন কয়েকজন লোক শিল্পকলায় রাখেন যারা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নন। 

এসব ঘটনায় বাংলাদেশ শিল্পকলার মহাপরিচালকের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রশিক্ষক মৈত্রী ঘরাই, সাধারণ সঙ্গীত প্রশিক্ষক রিমি সাব্বির ও রফিকুল ইসলাম, রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রশিক্ষক দেলোয়ারা ইনু, উচ্চাঙ্গ নৃত্য প্রশিক্ষক জয়ন্তী রায়, সাধারণ নৃত্য প্রশিক্ষক রাণী গোমেজ, চারুকলা প্রশিক্ষক সৈয়দ নাজমুল আলম, নাটক ও আবৃত্তি প্রশিক্ষক অনিমেশ সাহা, তালযন্ত্র পশিক্ষক গণেশ চন্দ্র রায়, ললিত কুমার দাস, সুশান্ত কুমার সাহা ও নিক্কন বিশ্বাস। 
 
সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশগুপ্ত উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আমি বন্ধ রাখিনি। যদিও নোটিশের সাক্ষরকারী ব্যক্তি আমি তবে এটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশনা সাপেক্ষে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনভাবেই আমার একক সিদ্ধান্তে বন্ধ করার সুযোগ নেই। 

প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখলে শিল্পচর্চা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাময়িক সময়ের জন্য ওইভাবে আমরা বলতে পারি না। আমাদের প্রশিক্ষকদের চুক্তিপত্র নবায়ন সংক্রান্ত জটিলতার একটি বিষয় ছিল। 

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এএফএম নূরুর রহমান বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ রাখলে প্রশিক্ষনার্থীরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিরুৎসাহিত হবেন। দ্রুত সময়ে কার্যক্রম শুরুর জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে।

 


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়