• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

খুলনায় যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ভ্যানচালক আটক

   ১২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৫ পি.এম.
খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লা। ছবি : সংগৃহীত

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় খুনিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ক্লু খুঁজতে পুলিশ দুটি বিষয় জোর দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

হত্যাকাণ্ডের সময় মাহবুবের সঙ্গে গাড়ি পরিষ্কারের জন্য অংশ নেওয়া ভ্যানচালককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে তাকে গুলি করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এদিকে সন্ধ্যার পর যুবদলের ওই নেতার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতে এশার নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল দীর্ঘদিনের। এর আগেও একবার তাকে টার্গেট করে হামলা চালায় ওই গ্রুপের সদস্যরা। সেবার সে প্রাণে বেঁচে গেলেও এবার আর রক্ষা পায়নি যুবদলের ওই নেতা। তার বিরুদ্ধে মহেশ্বরপাশা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তার ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিল। আর সেই সুযোগ আর হাতছাড়া করেনি অপরপক্ষ। শুক্রবার জুমার নামাজে এলাকার মানুষ ছিল ব্যস্ত, আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী জানান, যুবদল নেতা মাহবুব দুপুরে তার ব্যক্তিগত গাড়ি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময়ে একজন ভ্যানচালককে তিনি ডেকে নিয়ে গাড়ি পরিষ্কারের কাজে অংশ নিতে বলেন। ওই ভ্যানচালকের সামনে একটি মোটরসাইকেল আসা তিন ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। দুটি গুলির একটি তার মুখের ডান পাশে এবং মাথার ডান পাশে বিদ্ধ হয়। এরপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার দু’পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা ওই ভ্যানচালককে লক্ষ্য করে আরও দুটি গুলি ছোড়ে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। পুলিশ ভ্যানচালককে হেফাজতে নিয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে। এলাকার একটি গ্রুপের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। মাদককাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার জনশ্রুতি আছে। আমরা সকল বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছি।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময়ে ৩ জন সন্ত্রাসী ছিল। তাদের সকলের হাতে পিস্তল ছিল। সেখানে মাহাবুবকে লক্ষ্য করে তারা ৭ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। হত্যাকারীরা মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া দিয়ে মাহাবুবের বাড়ির সামনে গিয়ে গুলি করে ৩০ মিনিটে হত্যাকাণ্ডটি সম্পন্ন করে তেলিগাতি হয়ে হাইওয়ে রাস্তা দিয়ে বের হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যায়। আমরা ঘটনাস্থলের পাশে একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আরও একটি সংগ্রহের চেষ্টায় আছি। তবে এ মামলায় সাধারণ মানুষ যেন হয়রানি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মূল আসামিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কোন কিছুই পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ওসমান হাদিকে গুলি করার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ওসমান হাদিকে গুলি করার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে জান্নাতী-মুতাসিম
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে জান্নাতী-মুতাসিম
মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
হাদিকে হত্যা চেষ্টা মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল