ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী চক্র: প্রেস উইং


নিজস্ব প্রতিবেদক
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরনো ও বিভ্রান্তিকর ছবি ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামী লীগপন্থী চক্র—এমন অভিযোগ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেক’ শিরোনামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সংঘর্ষের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে এমন সব ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয়, যেগুলোর প্রকৃত ঘটনাস্থল ও সময় গোপালগঞ্জের সঙ্গে সম্পর্কহীন। এসব প্রোপাগান্ডার উদ্দেশ্য ছিল মূল ঘটনা আড়াল করা এবং এনসিপির ওপর দোষ চাপানো।’
বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম জাকির হোসেন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি তাদের সামাজিক মাধ্যমে এমন ছবি পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে—উত্তেজিত জনতা, আহত কিশোর, আগুনে জ্বলতে থাকা রাস্তাঘাট।
তথ্য যাচাইয়ে জানা যায়, ছবিগুলোর একটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের অন্য একটি ঘটনার, অপরটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলি চালানোর দৃশ্য।
একইভাবে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির ছবি দিয়ে দাবি করা হয়েছে সেটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জের হামলার পরিণতি। প্রেস উইং বলছে, ছবিটি আসলে ২০২৩ সালের ২০ মার্চ তোলা হয়েছিল ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে।
প্রচারণায় আরও দেখা যায়, একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়েছে যাকে লাঠি হাতে দেখানো হচ্ছে। দাবি করা হয়েছে, শিশুটি ১৬ জুলাইয়ের সংঘর্ষে অংশ নিয়েছে। অথচ ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি—এটি গাজীপুরের সফিপুরে ধারণ করা ২০২৩ সালের একটি ভিডিওর স্ক্রিনশট।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ছবির ডিজিটালি পরিবর্তিত একটি সংস্করণ ছড়ান নিঝুম মজুমদার নামের এক ব্যক্তি, যিনি আওয়ামী প্রোপাগান্ডার জন্য পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
আরও ভয়ংকর প্রচারণা হিসেবে উল্লেখ করা হয়—আওয়ামী সমর্থিত অ্যাকাউন্টগুলো ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বেসামরিক জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে’ বলে অপপ্রচার চালিয়েছে, যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
প্রেস উইং জানায়, ১৬ জুলাই এনসিপির পূর্বনির্ধারিত পথসভা শেষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। এই হামলা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ও ইউএনও-র গাড়িও হামলার শিকার হয়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে প্রশাসন ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করে।
বিবৃতির শেষাংশে প্রেস উইং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলে –‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, একটি সংগঠিত সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ও ব্যাখ্যা ছড়িয়ে জনমতকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
তারা আরও উল্লেখ করে যে, সরকারের তদন্ত সংস্থাগুলো এসব বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ শুরু করেছে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
গণঅভ্যুত্থানের ১২ মামলায় চার্জশিট জমা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন …

নিবন্ধন হারাল ৯৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা: ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯৬টি দেশি …

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সোহেল তাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী …
