• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন স্থাপন নিয়ে ব্যাখ্যা দিল সরকার

   ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৪ পি.এম.
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (OHCHR)-এর সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার মিশন স্থাপন সংক্রান্ত তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়েছে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ দেখা দিলেও সরকার জানিয়েছে, এই মিশনের উদ্দেশ্য শুধু গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান।

শনিবার (১৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই মিশন মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা পালনে সহায়তা করাই এর মূল লক্ষ্য।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার জবাবদিহি ও কাঠামোগত সংস্কারের ধারাবাহিক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গ্রহণযোগ্য নয়—এমন মতই দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সেই প্রেক্ষাপটে সরকার স্পষ্ট করেছে, জাতিসংঘের এই মিশন কেবলমাত্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিরোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করবে। এটি দেশের আইনি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে না।

সরকার আরও বলেছে, জাতিসংঘ এ বিষয়ে পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং স্থানীয় অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। যদি কোনো সময় এই মিশনের কার্যক্রম জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে বাংলাদেশ সার্বভৌম কর্তৃত্বের ভিত্তিতে চুক্তি থেকে সরে আসার অধিকার রাখে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে যদি এমন কোনো মানবাধিকার কার্যালয় থাকত, তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার মতো অপরাধগুলোর সঠিক তদন্ত ও বিচার সম্ভব হতো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার কেবল আদর্শিক নয়, বরং তা হবে ন্যায় ও বাস্তবতার ভিত্তিতে। এই অংশীদারিত্বকে একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে—যার মাধ্যমে আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জামায়াতের বিশেষ ট্রেন নিয়ে রেলওয়ের বিবৃতি
জামায়াতের বিশেষ ট্রেন নিয়ে রেলওয়ের বিবৃতি
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি: প্রধান উপদেষ্টা
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি: প্রধান উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে কারফিউ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বহাল
গোপালগঞ্জে কারফিউ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বহাল