• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

   ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:১১ পি.এম.
হুমায়ূন আহমেদের কবরে স্বজনরা। ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুর প্রতিনিধি

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনে দিনটি পালিত হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে দোয়া-মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, কবর জিয়ারত ও এতিম শিশুদের খাবার বিতরণসহ নানা ধর্মীয় ও স্মরণানুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রয়াত লেখককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

পিরুজালীতে অবস্থিত নুহাশ পল্লীতে এ দিন সকাল থেকেই আশপাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা উপস্থিত হয়ে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ায় অংশ নেন। হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিষাদ ও নিনিতসহ পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার থেকেই নুহাশ পল্লীতে অবস্থান করছিলেন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাওন ও তার পরিবার, নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রকাশনা জগতের প্রতিনিধিসহ অসংখ্য হুমায়ূনভক্ত কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবরের পাশে ফাতেহা পাঠ ও দোয়ায় অংশ নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম, ধী প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ নাছের, কাকলি প্রকাশনীর নাসির আহমেদ সেলিম এবং নুহাশ পল্লীর তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম বুলবুল।

সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মেহের আফরোজ শাওন জানান, হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন ছিল তাঁর বই আন্তর্জাতিক মানের প্রকাশনা সংস্থা পেঙ্গুইন পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হবে। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, – পেঙ্গুইন পাবলিকেশনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। খুব শিগগিরই সেখান থেকে হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশিত হতে দেখবো।

নুহাশ পল্লীর রক্ষণাবেক্ষণ প্রসঙ্গে শাওন বলেন, – এটি কেবল একটি স্যুটিং স্পট নয়, বরং গাছ ও পাখির অভয়ারণ্য। গত ১৩ বছরে এখানে ৫০টির বেশি বিরল প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে। কোথাও দুর্লভ গাছ পাওয়া গেলে এখনো তা এনে এখানে রোপণ করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতি যাদুঘর গড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, – এ ধরনের উদ্যোগ নিতে যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন, যা এখনো অর্জিত হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি, ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্ম হয়তো তা বাস্তবায়ন করতে পারবে।

দুপুরে মিলাদ মাহফিল শেষে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে দেখা গেছে এক আবেগঘন ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ।

উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যে তাঁর অবদানে তিনি বাংলাদেশের পাঠকপ্রিয় ও কালজয়ী লেখক হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বৃষ্টি হয়ে ঝরছে..
বৃষ্টি হয়ে ঝরছে..
সিফাত নুসরাতের নতুন বই ‘অগ্নিকন্যা’
সিফাত নুসরাতের নতুন বই ‘অগ্নিকন্যা’
খন্দকার আব্দুল মোমেনের ইন্তেকালে জামায়াতের শোক
খন্দকার আব্দুল মোমেনের ইন্তেকালে জামায়াতের শোক