ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য : প্রধান ফটক অবরোধ


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহ্'র মৃত্যুর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টকে কেন্দ্র করে সন্দেহের দানা বেধেছে শিক্ষার্থীদের মনে। তাদের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
এ ঘটনায় সোমবার (২১জুলাই) বিকেল ৪ টায় সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু সুষ্ঠু তদন্ত ও বিভিন্ন দাবি নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টার শিডিউল বাস আটকে যায়। বিক্ষোভ কে কেন্দ্র করে প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকে থাকে বাস গুলো।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের "ক্যাম্পাসে লাশ পরে, প্রশাসন কী করে", "আমার ভাই কবরে,খুনি কেন বাহিরে", "প্রশাসনের প্রহসন, মানি না, মানবো না", " তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ" ইত্যাদি স্লোগন দিতে দেখা যায়।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই (বুধবার) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে সাজিদের মৃত্যু হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা এটিকে হত্যা বলে অবহিত করে ক্যাম্পাসকে বাদি হয়ে হত্যা মামলা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে না পারার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়া সহ বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করে।
শিক্ষার্থীদের আরও দাবি সমূহ হলো, সাজিদ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতে বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে নূন্যতম সময়ে বিচার সম্পন্ন করা। ক্যাম্পাস বাদি হয়ে মামলা করা ও সাজিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া। মামালার তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়া।অধিকতর তদন্ত ও সাজিদ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য প্রশ্নের সমাধানের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসের আনাচেকানাচে ও প্রতি হলের প্রতি ফ্লোরে সিসি টিভি লাগানো। প্রশাসনের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সুস্পষ্ট বিবৃতি দেয়া এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করা। ভিসেরা রিপোর্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রদানের তাগিদ দেয়া।
এসব দাবি না মানলে বিশ্ববিদ্যালয়কে কমপ্লিট শাটডাউনের হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে সকল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন গুলো একাত্মতা প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যে রিপোর্ট টি দেখেছি সেখানে সাজিদের মৃত্যু ১৬ তারিখ রাত ৩ টা থেকে ৩:৩০ নাগাদ হয়েছে। এটা কোন সাধারণ মৃত্যু নয়। সাজিদের মৃত্যুর বিচার যদি না হয়, তাহলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অনিরাপদ, ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে, ডরমিটরিতে যারা আছে সকলে অনিরাপদ। প্রশাসন হয়তো মৃত সাজিদের মুখখানি দেখে নি। যদি দেখতো তাহলে তারা এসির নিচে থাকতে পারতো না।কালকে থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করা হবে।আমার ভাই কবরে থাকবে,আর প্রশাসন এসির নিচে থাকবে। আর আমরা ক্লাসে খাতা কলম নিয়ে বসবো তা কখনো হয় না।
তারা আরো বলেন, "আগামীকাল সকল শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবেন কিন্তু ক্লাস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য না। আমাদের ভাই সাজিদের হত্যার বিচার চাওয়ার জন্য আসবেন। আপনি আসবেন আপনার মুক্তির জন্য। নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য।"
এছাড়া দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল সকলকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সকাল ১১ টায় আন্দোলনের ডাক দেন তারা। পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গুলোকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় উপাচার্যের শোক
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান …

শিল্পী ও ভাস্কর হামিদুজ্জামান খানের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক
জাবি প্রতিনিধি
প্রথিতযশা শিল্পী ও ভাস্কর হামিদুজ্জামান খানের (৮০) মৃত্যুতে …

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো কলা অনুষদের গবেষণা সেমিনার
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের …
