সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা


নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রীসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১-এ এ মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ইউসিবিএল ব্যাংকের চট্টগ্রাম বন্দর শাখায় ‘ভিশন ট্রেডিং’-এর নামে একটি হিসাব খোলা হয়। ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির কথা বলে ২৫ কোটি টাকার একটি ‘টাইম লোন’ (১৮০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য) চাওয়া হয়। ব্যাংকের করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশন ও ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের সমন্বয়ে গঠিত প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি ঋণ প্রদানে ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরলেও, ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ কোনো যাচাই-বাছাই না করেই ২০২০ সালের ৮ মার্চ ২৫ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে ভিশন ট্রেডিং, আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খোলেন। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ইউসিবিএল ব্যাংকে আলাদা-আলাদা হিসাব খোলা হয় এবং ২৫ কোটি টাকা চারটি ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে তা পাচার করা হয়।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৭১ ও ১০৯ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (৫৬), তার স্ত্রী ইউসিবিএল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান (৪৬), জাবেদের ভাই ও সাবেক পরিচালক আসিফুজ্জামান চৌধুরী (৪৬), বোন রোকসানা জামান চৌধুরী (৫৬), সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ (৫৫), আফরোজা জামান (৪৮), সৈয়দ কামরুজ্জামান (৬১), মো. শাহ আলম (৬২), মো. জোনাইদ শফিক (৬৪), অপরূপ চৌধুরী (৬৫), তৌহিদ সিপার রফিকুজ্জামান (৬৬), ইউনুছ আহমদ (৭৯), হাজী আবু কালাম (৭৯), নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬২), সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সবুর (৭৭), সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী (৬৪), সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ (৫১), আবদুল হামিদ চৌধুরী (৫০), আবদুর রউফ চৌধুরী, জিয়াউল করিম খান (৪৬), মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল (৫৮), মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন (৬২), বজল আহমেদ বাবুল (৫৬), এবং আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী (৫১), কাজী মোহাম্মদ দিলদার আলম (৬৬), মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম (৫০), আব্দুল আজিজ (৩৯), মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৫৪), মেহাম্মদ হোছাইন চৌধুরী (৪৮), ইয়াছিনুর রহমান (৪৩), ইউছুফ চৌধুরী (৪৫), সাইফুল ইসলাম (৪৫)।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে ব্যাংক ঋণ আদায় করেন এবং তা আত্মসাৎ করে পাচার করেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তী মেয়াদে মন্ত্রিপরিষদের একজন পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
‘আমার বাবাকে প্রকাশ্যে হত্যা করে মিছিল করেছে’
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনের সড়কে ভাঙ্গারি …

৩ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের …
