• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

রোগীর ওপর খুলে পড়ল এক্স-রে মেশিন, আহত ৩

মাদারীপুর প্রতিনিধি    ২৫ জুলাই ২০২৫, ১২:২৫ পি.এম.

মাদারীপুর জেলার রাজৈরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করার সময় রোগীর ওপর মেশিন খুলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় রোগীসহ আহত হয়েছেন তিনজন।
 
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যার পরে উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের কেসি গোল্ড টাওয়ারের আরামবাগ ডি-ল্যাব নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
 
ভুক্তভোগী রোগী অন্তরা আক্তার (২৮) রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের ইতালি প্রবাসী আনোয়ার মোল্লার স্ত্রী। এ নিয়ে কথা বলায় অন্তরার স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণ করারও অভিযোগ উঠেছে ল্যাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
 
সূত্রে জানা যায়, পরিবারসহ ইউরোপের দেশ ইতালিতে থাকেন অন্তরা। দুই মাস আগে দুই ছেলেকে নিয়ে দেশে আসেন তিনি। পরে কোমড়ে ব্যথার সমস্যার জন্য টেকেরহাটের আরামবাগ ডি-ল্যাব নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে যান। সেখানে ডা. গোলাম সরোয়ারকে দেখালে তিনি এক্স-রে করাতে বলেন। এসময় ওই ক্লিনিকের এক্স-রে রুমে গিয়ে টেবিলে সোয়ার কিছুক্ষণ পরই তার ওপর খুলে পড়ে এক্স-রে মেশিনের স্ট্যানসহ টিউব। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ওই ক্লিনিকের আরও দুইজন স্টাফ আহত হন। এর মধ্যে একজন স্টাফের মাথা গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় অন্তরার ঘাড়ে আঘাত লেগে আহত হয়েছে। 
 
তবে অভিযোগ রয়েছে, এ মারাত্মক ঘটনা মোবাইল ফোনে স্বজনদের জানালে অন্তরার খালাতো বোনের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
আহত অন্তরা আক্তারের খালাতো বোন প্রত্যক্ষদর্শী তানিয়া বেগম জানান, আমার ইতালি প্রবাসী খালাতো বোনের কোমড়ে ব্যথা। এজন্য তাকে নিয়ে টেকেরহাটের আরামবাগ ডি-ল্যাবে ডাক্তার দেখাতে আসি। পরে ডা. গোলাম সরোয়ারকে দেখালে তিনি এক্স-রে করাতে বলেন। এসময় এক্স-রে রুমে গিয়ে এক্স-রে টেবিলে সোয়ার পরপরই মেশিনটি ভেঙে অন্তরার ওপর পড়ে। তখন হাসপাতালের দুইজন স্টাফ ভেঙে পড়া মেশিনটি ধরতে গিয়ে আহত হন। আমিও রুমের ভেতরে ছিলাম, সামান্য আহত হয়েছি। এ ঘটনা আমাদের লোকজনকে জানালে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে হাসপাতালের লোকজন। আমরা এ ঘটনার সুস্থ বিচার চাই।
 
আরামবাগ ডি-ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ ফরাজী অকপটে নিজেদের দায় স্বীকার করে বলেন, আমাদের ভুল আছে বলেই চুপচাপ সবার এতো কথা শুনছি। টেকনিশিয়ানরা ঠিক মতো ফিটিং করতে পারেনি বলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে তার (অন্তরা) বেশি কিছু হয় নাই। আমাদের স্টাফরা বেশি আহত হয়েছেন।
 
রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শামীম আক্তার বলেন, একটা এক্স-রে মেশিন খুলে পড়বে, এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা এ বিষয়ে লিখত কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও অনিবন্ধিত, অবৈধ ও দুর্নীতি করে পরিচালিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুল হক বলেন, এ ব্যাপারে অতি শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
 
ভিওডি বাংলা/এস এম রাসেল/এম 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়