নিদ্রা সমুদ্র সৈকত ও নিদ্রা চড়: বরগুনার তালতলীর লুকায়িত সৌন্দর্য


বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের এক অনন্য ঠিকানা। এখানে নিদ্রা সমুদ্র সৈকত ও নিদ্রা চড় পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। কোলাহলমুক্ত পরিবেশ, নীল জলরাশি, এবং অবারিত সবুজ প্রকৃতি একে করেছে অসাধারণ।
নিদ্রা সমুদ্র সৈকত তালতলী উপজেলার অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। এটি একদম নিরিবিলি এবং মানুষের ভিড় থেকে অনেকটাই মুক্ত। সমুদ্রের ঢেউয়ের সুর, নির্জন পরিবেশ, এবং সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য এখানে সময় কাটানোর এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেয়। সৈকতের বালুর নরমতা এবং সমুদ্রের নীলাভ জলরাশি প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে।
নিদ্রা চড় সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী একটি চমৎকার দ্বীপ, যা জোয়ার-ভাটার খেলার কারণে প্রতিনিয়ত রূপ বদলায়। এটি মূলত একটি অস্থায়ী বালুকাময় চড়, যা ভাটার সময় জেগে ওঠে এবং জোয়ারের সময় জলে ডুবে যায়। এখানে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের বিশালতা অনুভব করা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। চড়ে বসে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার মুহূর্তগুলো ভ্রমণকারীদের মনে দীর্ঘদিন স্মৃতি হয়ে থাকে।
বরগুনার তালতলী উপজেলায় পৌঁছানোর জন্য প্রথমে বরগুনা শহর পর্যন্ত আসতে হয়। সেখান থেকে তালতলীর পথে সড়কপথে যেতে হবে। স্থানীয় যানবাহন সহজলভ্য, যা পর্যটকদের সমুদ্র সৈকত ও নিদ্রা চড়ে পৌঁছানোর সুবিধা দেয়।
শীতকালে এখানে ভ্রমণ সবচেয়ে উপভোগ্য। নিজস্ব বাহন বা গাইড নিয়ে যাওয়া সুবিধাজনক। পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।
নিদ্রা সমুদ্র সৈকত ও নিদ্রা চড় তালতলীর এমন দুই রত্ন, যা পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই স্থানগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করলে এটি দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে নির্জনতা উপভোগ করতে চাইলে নিদ্রা সমুদ্র সৈকত এবং চড় নিঃসন্দেহে আপনার পরবর্তী ভ্রমণ তালিকায় থাকা উচিত।
ভিওডি বাংলা/জাহিদুল ইসলাম মেহেদী/এম
জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
জোয়ারের সময় বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত …

শেরপুরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত
শেরপুরে সারাদেশের সাথে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কণ্ঠে শপথ …

মাদারীপুরে বিভিন্ন জেলার ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে কুরআন প্রতিযোগিতা
মাদারীপুরের কালকিনিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিভিন্ন জেলার ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর …
