মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ রাজশাহী নগরবাসী, বাড়ছে ডেঙ্গু


মশা মারতে পারছে না রাজশাহী সিটি করপোরেশন। উন্নয়ন থমকে যাওয়ার পাশাপাশি নগরীর ড্রেন, নর্দমাগুলোও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ড্রেন-নর্দমাসহ ঝোপঁ-ঝাড়ে বাসা বেধেছে মশা। দিন-রাত মশার কামড়ে যেন অতিষ্ঠ নগরবাসী। দিনের বেলাতেও ঘুমাতে হচ্ছে মশারি টাঙ্গিয়ে বা কয়েল জ¦ালিয়ে অথবা মশা নাশক স্প্রে করে। এমনকি অফিস-আদালত থেকে শুরু করে ব্যবসা কেন্দ্রেও হানা দিচ্ছে মশা। হোটেল-রেস্তোরাগুলোতে মশার জন্য বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবুও বাড়ছে ডেঙ্গু। মশার বৃদ্ধির ফলেই ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী নগরীর অধিকাংশ ড্রেনগুলোতে ময়লা-আবর্জনা বা নোংরা পানিতে ভর্তি হয়ে আছে। এসব ড্রেনে বাসা বেধেছে মশা। নগরীর বর্ণালীর মোড় থেকে তেরোখাদিয়া হয়ে যাওয়া যাওয়া বড় আকারের ড্রেনটি অন্তত তিন মাস ধরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়নি বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। গতকাল সকালে এ ড্রেনের দিকে নজর দিতেই ভন ভন শব্দ করে যেন ঘিরে ধরে মশা। শত শত মশা নিমিষেই উড়া-উড়ি শুরু করতে দেখা যায়।
ড্রেনের পাশেই লন্ড্রি দোকানের মালিক ভুট্টু রহমান বলেন, ‘দোকানে দিনের বেলাতেও দাঁড়ায় থাকা যায় না মশার অত্যাচারে। সারাক্ষণ কয়েল জ¦ালায় রাখতে হয়। আমার এমনিকেই শ^াসকষ্ট। এর মধ্যে কয়েল দিলে আরও কষ্ট হয়। কিন্তু মশার হাত থেকে বাঁচতে কয়েল জ্বালাতেই হয়।’
আরেক মুদি দোকানদার মাজদার হোসেন জুয়েল বলেন, ‘দোকানের ভিতর বসে থাকা দায় মশার অত্যাচারে। একটু বিকাল হলেও বাইরেও এক মিনিটও শান্তিতে ক্রেতারা দাঁড়ায় থাকতে পারেন না মশার দাপটে। এতো মশার মাধে যেন টেকায় দায়।’
উপশহর এলাকার বাসিন্দা মোন্তাজুর রহমান বলেন, সেই কবে মশার ওষুধ ছিটাইছে মনে নাই। অন্তত এক বছর তো হবেই। এ কারণে গত শীতের মধ্যে থেকেই এবার মশার আক্রমণ বেশি। ড্রেনগুলো বা বাসার আশে-পাশের অলি-গলিতে ময়লা-আবর্জনার কারণে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বেশি। আবার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও স্থবির হয়ে আছে। ফলে মশার অত্যচার বেড়েছে।
নগরীর সাত্তার হোটেলের মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘খাবার খ্যাতে অ্যাসছে মানুষ। কিন্তু শান্তিতে বস্তে প্যারছে না। বসলেই মশা ঘিরে ধরছে। বাধ্য হয়ে দিন-রাত কয়েল দিয়ে র্যাখছি। তাও মশার যেন কমতি নাই। এ কারণে ব্যবসাও কম হয় রাতের বেলা।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ও মুখপাত্র শঙ্কর কে বিশ্বাস বলেন, ‘মশার বৃদ্ধির কারণে রাজশাহীতে ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছর ডেঙ্গু রোগে তিনজন মারা গেছেন এ হাসপাতালে। এখনো ভর্তি আছে ২৬ জন। করোনার চেয়েও ভয়ংকর ডেঙ্গু রোগ। কিন্তু এ রোগে সচেতনতা অনেক কম। ফলে এ সময়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে অনেক।’
জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার বলেন, ‘মশা অনেকটায় বেড়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। ওয়ার্ড পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি না থাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাও কমেছে। তাছাড়া বাড়ির পাশের ঝোপঝাড় অনেকে পরিষ্কার রাখছেন না। ছাদবাগানের টবের পানি থেকেও বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে মশার। এসব ব্যাপারে নগরবাসীকেও একটু সচেতন থাকতে হবে। তাহলে মশার সংখ্যা কমবে।’
তিনি আরও বলেন, এখন লার্ভিসাইড ওষুধ ও ফগার মেশিনের ওষুধ আমরা কিনছি না। এখন ড্রেন ও ঝোঁপঝাড় পরিস্কার করে মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আগামী অক্টোবরে মশক নিধনের ওষুধ ছিটানো হবে। তখন কেনা হবে ৬০-৭০ লাখ টাকার ওষুধ। ওষুধ কেনার বরাদ্দ পাওয়া যাবে আশা করি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
বেতাগীর কাবিল আকন খাল কচুরিপানায় বন্ধ ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাবিল আকন খাল …

মাদারীপুরে দু"গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আহত ৫
মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানাধীন আলীনগর ইউনিয়নের উত্তর কানাইপুর গ্রামের শরীফ …

কুড়িগ্রামে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা …
