• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

গাইবান্ধায় গৃহবধূকে গাছে বেঁধে পাশবিক নির্যাতন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি    ২৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৪ পি.এম.

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় পরকীয়ার অপবাদে চুলকেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা নির্যাতন করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা।এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

হরিণাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অভিযোগ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের দুলা মিয়ার স্ত্রী শহিদা বেগমের সাথে  এরকম একটি পাশবিক  নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন তার স্ত্রীকে মিথ্যা পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে বাড়ির রাস্তা থেকে ধরে মারধরও হাত-পা বেঁধে একটি আম গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন চালায় সেই প্রভাবশালী নারীও পুরুষরা । এই সময় নির্যাতনের শিকার নারীকে কাঠের লাঠি ও বাঁশের বেত দিয়ে আঘাত করেন। এছাড়া মাথার চুলকাটা সহ জুতার মালা ও মুখে কালি মেখে দেন। 

 পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান মজনু মুঠোফোনে খবর পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই নারীকে উদ্ধার করেন। এবং  গাছে বেধে নির্যাতনের সত্যতা পায়। পরে শহীদা বেগম তার স্বামীকে নিয়ে স্থানীয় হরিনা বাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে  একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করলেও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। 

 ভুক্তভোগী নারী ও পরিবারের স্বজনদের দাবি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক নির্যাতনকারীদের। 

ভুক্তভোগী নারী শহীদা বেগম বলেন, ইউনূসের লোকজন (নারী-পুরুষ) প্রায় ১৫ -২০ জন আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আম গাছের সাথে বেঁধে পাশবিক  নির্যাতন চালায়। আমি এখনো কানের চিকিৎসা করছি  মা'রধর কারণে  কান দিয়ে রক্ত আসছে ও ব্যথা করছে।

 এদিকে,সেই সুযোগে বাড়িতে থাকা গরু বিক্রির টাকা-পয়সা লুটপাট ও স্বর্ন নিয়ে যায় ও রান্না করার চুলা ভেঙ্গে দেয় তারা।ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি পূর্ব শত্রুতা জের ধরে এরকম একটি ঘটনা ঘটাইছে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দুলা মিয়া বলেন, কোন অপরাধ করলে আমি স্বামী দেখব"  কিন্তু ওরা কেন নির্যাতন করল আমার স্ত্রীকে। এদের বিচার চাই। 

ভুক্তভোগী নারীর মেয়ে অভিযোগ করে বলেন,আমার মা আমার ছেলে মেয়ে ও তার পোশাক তৈরি করতে তার জ্যায়ের বাসায় যায়। রাত হলে সে, সেখানেই থাকে  যায়। পরের দিন সকালে বাড়িতে আসার পরই তারা মিথ্যা পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে   বাড়ির ভিতর থেকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে  মারধর শুরু করে আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে।

তবে এ বিষয়ে স্থানীয়রা প্রভাবশালী নারী-পুরুষের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি কেউ প্রকাশ্যে গণমাধ্যমের সামনে।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান মজনু বলেন,ফোনে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীটিকে উদ্ধার করি এবং নতুন করে যাতে কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য সকলকে নিষেধ করে আসি। 

এ বিষয়ে হরিণাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সবুজার আলী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছি।এবং পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সারিয়াকান্দিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
সারিয়াকান্দিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
কুমারখালীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
কুমারখালীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
সুবচনর উদ্যোগে পাবনা কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
সুবচনর উদ্যোগে পাবনা কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত