• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

আসাদুজ্জামান নূরের মামলায় ১২ বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪১ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলায় প্রায় ১২ বছর পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তুলে নেওয়া হলো নিহত সিদ্দিক আলীর দেহাবশেষ। মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ২০২ নেতাকর্মীকে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সিদ্দিক আলীর দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়। আদালতের নির্দেশে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করে পুলিশ ও প্রশাসনের যৌথ দল।

প্রক্রিয়া তদারকি করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানজীর ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী থানার উপ-পরিদর্শক সজীব সাহা, নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী লিটন রহমান এবং সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আবু হানিফা শাহ।

পরে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য দেহাবশেষ পাঠানো হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে।

বাদী লিটন রহমান জানান, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী লক্ষ্মীচাপের কাছারি বাজারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এর দুই দিন পর, ১৪ ডিসেম্বর ভিন্ন রাজনৈতিক মতের লোকদের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি অভিযোগ করেন, সেদিন তার বাবা সিদ্দিক আলীকে আওয়ামী লীগের হামলাকারীরা মাথায় আঘাত করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা সাহায্যে এগিয়ে এলে সাবেক সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর গাড়ি চালিয়ে সিদ্দিক আলীকে চাপা দিয়ে হত্যা করেন।

নিহতের ছেলে লিটন রহমান ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর নীলফামারী আমলি আদালত-১ এ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ৩ নভেম্বর মামলাটি সদর থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় আসাদুজ্জামান নূরসহ ২০২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

প্রধান আসামিদের মধ্যে আছেন: জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সহসভাপতি হাফিজুর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের, সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ, ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সজীব সাহা জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে দেহাবশেষ তুলে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।

লিটন রহমান বলেন, –‘আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসাদুজ্জামান নূর এই ঘটনার মূল হোতা। দ্রুত তার এবং অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

উল্লেখ্য, মামলায় সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গত ৮ জুলাই শ্যোন এরেস্ট দেখিয়েছে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সোহানার খোঁজ মিললো সাবেক স্বামীর বাসায়
সোহানার খোঁজ মিললো সাবেক স্বামীর বাসায়
বাঁশখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
বাঁশখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
সাঘাটায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আটক
সাঘাটায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আটক