জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির দাবি এনসিপির: আখতার হোসেন


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে অবিলম্বে আইনি ভিত্তি তৈরি জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষ দিন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। বেশ কিছু বিষয়ে সর্বসম্মত ঐকমত্য হয়েছে, আবার কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রেখে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে, এখনো বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট আলোচনা হয়নি।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার থেকেই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন শুরু হোক এবং এর জন্য একটি সুস্পষ্ট আইনি কাঠামো তৈরি করা হোক। আজ আমরা কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে জানতে চেয়েছি, কবে নাগাদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।”
এনসিপি সদস্য সচিব আরও বলেন, “কমিশন যে খসড়া সনদ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে, সেটি প্রাথমিক পর্যায়ের হলেও তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নতুন সংসদ গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমাদের আশঙ্কা হলো-যদি এখন থেকেই বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতের কোনো সরকারের ওপর এ দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়, তাহলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সংকট সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে প্রস্তুত হওয়া এই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অধ্যাপক আলী রীয়াজ আশ্বস্ত করেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে বাস্তবায়নের পথ খোঁজা হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে, যা আমাদের উদ্বিগ্ন করে।”
আখতার হোসেন বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। অথচ দেশের মানুষ একটি জবাবদিহিমূলক, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্র কাঠামো চায়। বাস্তবায়নেই যদি হোঁচট খাই, তবে এতদিনের পরিশ্রম বৃথা যাবে।”
তিনি আরও জানান, আজকের আলোচনায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই কমিশনের উদ্যোগে একটি সুস্পষ্ট বাস্তবায়ন পথরেখা নির্ধারণের পক্ষে মত দিয়েছে।
শেষে তিনি বলেন, “কমিশনের ধৈর্য, সহনশীলতা ও উদার আলোচনাপূর্ণ পরিবেশের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-বাস্তবায়নের স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা এবং তা দ্রুত কার্যকর করা। আমরা আশা করি, কমিশন খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবে।”
ধানমন্ডি থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা লাভলু গ্রেপ্তার
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা মো. হৃদয় হাসান লাবলুকে …

দখলীয় নির্বাচন এ দেশের মানুষ আর গ্রহণ করবে না
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে ভোটের …

এনসিপির শীর্ষ নেতারা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে
শুধুমাত্র কক্সবাজারের ঘটনা নয় প্রতিনিয়ত এনসিপির শীর্ষ নেতারা মিডিয়া ট্রায়ালের …
