বাঁশখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন


চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী প্রকাশ ইউনুচ মুন্সিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টায় বাহারছড়া ইউনিয়ন সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার মাতৃসদন হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে থানা প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়৷ এরপর বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ গেইটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে চেয়ারম্যান সরাসরি ছাত্র-জনতার উপর হামলা জড়িত ছিল সে কিভাবে এতদিন চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারে। গত ১৭ বছর স্বৈরাচারের দোষর হিসেবে বাহারছড়ার সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালান এই ইউনুচ মুন্সি। গত ৪ আগস্ট বাঁশখালীর চাম্বলে ছাত্র-জনতার উপর হামলায় জড়িত ছিল সে। জুলাই আন্দোলনে আ. লীগের হয়ে বিভিন্ন নাশকতা ও হামলায় বাহারছড়ার প্রতিনিধিত্বও করেন তিনি।'
বক্তারা আরও বলেন, ‘এই স্বৈরাচারের দোষর ইউনুচ মুন্সিকে বাহারছড়াবাসী কখনো চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিবে না। প্রয়োজনে বাহারছড়ার সাধারণ মানুষ কঠোর আন্দোলনে যাবে। বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছেন এই ইউনুচ মুন্সি। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করতেছি অবিলম্বে এই দোষরকে গ্রেপ্তার করে বাহারছড়ায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন।'
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাহারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী সহ, ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় এলাকাবাসী
উল্লেখ্য : বাঁশখালী উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম মাবুদ ও উপজেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি, চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে চেয়ারম্যান পদ দখল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ রক্ষা নিয়ে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ জুন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস জামিনে আসার পর থেকেই মুলত; উত্তেজনা শুরু হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৪ মাস করাগারে ছিলেন তিনি। ওই সময়ে পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য, মেম্বার মাহমুদুল ইসলাম মাবুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেন। বর্তমানে মাহমুদুল ইসলাম মাবুদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দুটি পক্ষের মাঝে সংঘাত সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
নৌপথে চাঁদাবাজি : র্যাবের হাতে বৈষম্যবিরোধী নেতাসহ আটক ৭
সিলেটের গোয়াইনঘাটের নৌপথে চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা …

রাজশাহীতে বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম
রাজশাহীতে বর্ষাকালে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাঁচা সবজির দাম। …

বহিষ্কার হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির দুই নেতা
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী …
