• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

‌‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ'  ছয় সমন্বয়কের মুক্তি

   ১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৬ পি.এম.
ছয় সমন্বয়কের মুক্তি-ছবি সংগৃহীত

২০২৪ সালের ১ আগস্ট (৩২ জুলাই), কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হয় ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার পাশাপাশি কয়েকটি স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থী আটক হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

আন্দোলনের পটভূমি-১৬ জুলাই, কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ নেয় এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, যা আন্দোলনকারীদের ভাষায় "জুলাই গণহত্যা" নামে পরিচিতি পায়। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জুলাই মাস চলবে-ফলে ১ আগস্টকে ‘৩২ জুলাই’ নামে অভিহিত করা হয়।

কর্মসূচির বৈশিষ্ট্য-‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচিতে নির্যাতনের স্মৃতিচারণ, শহীদদের স্মরণ, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন, চিত্রাঙ্কন, ফেস্টুন তৈরি ইত্যাদির মাধ্যমে দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। এই কর্মসূচিতে শিক্ষক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

ছয় সমন্বয়কের মুক্তি-১ আগস্ট দুপুর দেড়টায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে মুক্তি দেওয়া হয়। আন্দোলনকারী নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম জানান, সকাল ৬টার দিকে পরিবারগুলোকে ডিবি অফিসে ডাকা হয় এবং দুপুরে নিজস্ব পরিবহনে সমন্বয়কারীদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। তারা ডিবি কার্যালয়ে অনশন করছিলেন এবং বর্তমানে শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত।

২ আগস্ট: ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি-শহীদ, আহত ও গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের স্মরণে ২ আগস্ট (৩৩ জুলাই) দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।  সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ ও সংহতি-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেকৃবি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, বরিশাল ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ পালিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-কর্মচারীরা সকালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

সরকারের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া-১ আগস্ট বিকেলে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী নীলদল এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের পথ পরিহারের আহ্বান জানায়, কারণ তাদের মতে শিক্ষার্থীদের দাবির কাঙ্ক্ষিত সমাধান হয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া-কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ও প্রাণহানির প্রতিবাদে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের বিক্ষোভ হয়। তারা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের আহ্বান জানান। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, বাংলাদেশ সরকার চাইলে সহিংসতার তদন্তে জাতিসংঘ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তদন্ত কমিশন গঠন-১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, এবং প্রাণহানির ঘটনায় তদন্ত করতে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সব দখল করে নিয়েছিল- আবদুস সালাম
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সব দখল করে নিয়েছিল- আবদুস সালাম
দেশের জনগণের সঙ্গে শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান
দেশের জনগণের সঙ্গে শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান
ফ্যাসিস্টের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিস্টের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই : সালাহউদ্দিন