• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতিবাদস্বরূপ কক্সবাজার গিয়েছি: হাসনাত

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৭ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২১ পি.এম.
মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আগের নেয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে ভাবতে কক্সবাজারে গিয়েছিলাম। একইসাথে এটি ছিলো অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি আমার নীরব প্রতিবাদ।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দলের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেন তিনি।

তিনি লেখেন, ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময় অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তিদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে। শহীদ পরিবার, আহত এবং নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই মতামত প্রদানের সুযোগ পাননি। এমনকি অন্তর্ভুক্তির ন্যূনতম সম্মানটুকুও পাননি। এতে আমিসহ অনেকেই ব্যথিত।

হাসনাত আরও লেখেন, ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন কিছু উপাদান দেখতে পাই। যেমন, ঘোষণাপত্রে সংবিধান সংস্কারের জন্য জনগণ পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের উপর দায়িত্ব অর্পণের অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে এমনটা বলা হয়েছে। এই দাবিটি অসত্য এবং সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন আনার পথে বড় অন্তরায়। আমরা শুরু থেকেই গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার দাবি করে আসছি, যা রাষ্ট্রের কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনবে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাবে।

এনসিপির এই নেতা লেখেন, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় আন্দোলনের আহত এবং নেতৃত্বদানকারী অনেককে এই অনুষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। এটা শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে হয়েছে। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। যেখানে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজন, শহিদ এবং আহতদের পরিবর্তে কিছু মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর কথা এবং মতামতকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাই সেখানে উপস্থিত থাকার কোনও ইচ্ছা বা প্রয়োজন বোধ করিনি। কাজেই, পরদিন ঢাকার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এর উদ্দেশ্য ছিল আগের নেয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে ভাবতে কক্সবাজারে গিয়েছিলাম। একইসাথে এটি ছিলো অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি আমার নীরব প্রতিবাদ।

হাসনাত আরও উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট রাতে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। তাকে না পেয়ে পরবর্তীতে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীকে স্কুলবন্ধুদের সঙ্গে দুই দিনের জন্য ভ্রমণে যাওয়ার কথা জানাই। তাকে আহ্বায়ককে বিষয়টি জানানোর অনুরোধ করি। প্রায় ত্রিশ মিনিট পর আহ্বায়ককে বিষয়টি জানানো ও তিনি সম্মতি দিয়েছেন বলে আমাকে জানানো হয়। পরবর্তীতে আমার সঙ্গে নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, সস্ত্রীক সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি যুক্ত হন।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গ্রিন সিগন্যালেই মনোনয়ন !
গ্রিন সিগন্যালেই মনোনয়ন !
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে শহীদ মিনারে ঘোষণার আহ্বান পাটোয়ারীর
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে শহীদ মিনারে ঘোষণার আহ্বান পাটোয়ারীর
২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত তাণ্ডব দিয়ে হাসিনার ফ্যাসিবাদী যাত্রা শুরু হয়
২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত তাণ্ডব দিয়ে হাসিনার ফ্যাসিবাদী যাত্রা শুরু হয়