সাংবাদিক তুহিন হত্যায় আটক ৫


গাজীপুরের চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে অগ্রগতি এসেছে। হানিট্র্যাপ থেকে ঘটনার সূত্রপাত বলে জানিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করেছে। সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে তাদের মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম) রবিউল হাসান বলেন, আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি এ মামলায় জড়িয়ে না যায়।
রবিউল হাসান বলেন, তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল এক হানিট্র্যাপ থেকে। গোলাপি নামে এক নারী বাদশা নামের একজনকে প্রলোভনে ফেলে। ওই নারীর সঙ্গে থাকা সশস্ত্র যুবকরা বাদশাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে মোবাইলে দৃশ্যটি ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। এ সময় হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক চা দোকানি বলেন, ওই সাংবাদিক দোকানে আসেন। তারপর পাঁচ-ছয়জন লোক রামদা, চাপাতি ও ছুরি নিয়ে এসে তাকে কোপাতে থাকে। তাদের থামার জন্য অনুরোধ করলে তারা গালি দিয়ে বলে তোর ঘাড় ফেলে দেব। পরে আমি ভয় পেয়ে লুকিয়ে পড়ি।
নিহত মো. আসাদুজ্জামান তুহিন (৩২) ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহের কাজ করতেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ