নৌপথে চাঁদাবাজি : র্যাবের হাতে বৈষম্যবিরোধী নেতাসহ আটক ৭


সিলেটের গোয়াইনঘাটের নৌপথে চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য আজমল হোসেনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—আজমল হোসেন, সুলতান আহমদ, বিল্লাল মেম্বার, সুবহান, শাকিল, ফারুক মিয়া ও ফয়সল মৌলবি। আজমল হোসেন উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে এবং মামলার প্রধান আসামি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মাসে সরকারের ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বালুবাহী নৌযান আটক করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আজমল বাহিনী। এতে প্রায় দুই শতাধিক বাল্কহেড দুই সপ্তাহ ধরে লেঙ্গুড়া গ্রামে জিম্মি করে রাখা হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয় এবং প্রশাসনের নজরে আসে। পরে ৬ জুলাই উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে আটক নৌযানগুলো মুক্ত করে। সে সময় আজমল পালিয়ে গেলেও তার কয়েকজন সহযোগী ধরা পড়ে।
স্থানীয় নৌ শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন নৌপথে একটি প্রভাবশালী চক্র চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিল। এ কারণে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, নৌ শ্রমিকরা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভও করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাতজনকেই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে এবং এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ