• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জুলাইযোদ্ধাদের হঠাৎ কী হলো, প্রশ্ন রনির

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪১ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘আমাদের দুনিয়া কাঁপানো জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। সেই ছাত্র বিপ্লবকে ধারণ করার জন্য বিশ্বের সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিরা বাংলাদেশমুখী হয়েছিল। এ কারণে আমরা প্রায় ছয় মাস কোনো প্রশ্ন না করে তাদেরকে মাথায় করে রেখেছি। প্রায় একটি বছর চলে গেছে।

রনি বলেন, ‘আমরা ড. ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভীষণ রকম কৃতজ্ঞ। ড. মুহাম্মদ ইউনূস হয়তো বিপ্লবের সঙ্গে ওভাবে জড়িত ছিলেন না। তিনি রাজনীতি বোঝেন না। তিনি অনেক ভুল-ভ্রান্তি করেছেন।

কিন্তু একজন মানুষ আজ থেকে সেই এক বছর আগে যার বয়স ছিল ৮৫ বছর বয়স নিয়ে যদি তিনি না আসতেন, বলেন তো উনার বিকল্প আজকে আপনি কাকে বসাতেন। হয়তো অনেকেই আসতে পারেন, কিন্তু যে আন্তর্জাতিক প্রেসারটা থাকতো সেটা কি সামলাতে পারতেন। আন্তর্জাতিক প্রেসারটা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারণে প্রথম তিন থেকে চার মাস একেবারেই ছিল না। ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনটা তিনি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন অথবা তিনি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেননি; কিন্তু তার নামে যেভাবে সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত থেকে গেছে। এটা কি আমরা অতীতে কখনো কল্পনা করতে পারতাম বা এটা কি দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে রয়েছে; যেটা তারা করতে পারতো।’

‘এই যে বিপ্লবের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা ২৮ বছর ২৯ বছর তাদেরকে টেলিভিশনে ডেকে এনে আমরা যারা একটু বয়স্ক লোক যাচ্ছে-তাই ভাষায় তাদেরকে গালাগাল করছেন। কেউ আজেবাজে কথাবার্তা বলছেন, তারা তো হাসি মুখে সবকিছু মেনে নিচ্ছেন। যারা গালাগাল করছেন তাদের সঙ্গে তো তারা একবারও তাদেরকে মারধর করেননি। তাদের সঙ্গে রাগারাগি করে তাদের গাড়িতে ঢিল ছুড়েননি। তাই এই যে আমরা একটা বিপ্লব পেয়েছি, এই বিপ্লবকে যদি আমরা একটা কবর দেই, বিপ্লবীদেরকে যদি আমরা কাঁদিয়ে ফেলি; তাহলে আগামী দিনের যে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ এটি আমাদের জন্য ফরজ হয়ে যায় এবং যারা আসবেন তারা সেই শেখ হাসিনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কমপক্ষে ২২ বছর তো চেষ্টা করবেনই, এটা স্বাভাবিক। অর্থাৎ ভবিষ্যতের জন্য হলেও আল্লাহ যে একটা বিপ্লব দিয়েছেন, বিজয় দিয়েছেন, বিপ্লবী দিয়েছেন; তাদেরকে লালন করে পালন করতে হবে। আমি মনে করি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এনসিপির যে দূরত্ব এটা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়।’

‘এছাড়া এনসিপির যারা কক্সবাজারে চলে গেছেন, তাদের জনপ্রিয়তা ৯০% এবং সাংগঠনিক ক্ষমতা কিন্তু এদের হাতে। তাই তাদের চোখে যে অশ্রু, তাদের মনের যে বিষণ্ণতা, তাদের মনে যে দুঃখ, কষ্ট এবং বেদনা এটা কিন্তু প্রকৃতি সহ্য করবে না। প্রকৃতি এটা ধারণ করবে না। তাদের দীর্ঘশ্বাস অনেকের তকদির নষ্ট করে দিবে। অনেকের সম্মান নষ্ট করে দিবে। তাদেরকে আমরা যদি ছোট করার চেষ্টা করি, তাহলে আগামী দিনে দুর্ভোগ দুর্দশা পোহাতে হবে। আমি শুধু এটা বলব যে, জেগে উঠুক বিপ্লবীরা, আবার ঘুরে দাঁড়াক। যিনি রাজনীতি করবেন তিনি রাজনীতি করুন। যিনি রাজা হবেন তিনি রাজার মতোই আচরণ করুন। মন্ত্রীরা মন্ত্রীর মতো আচরণ করুন। আর বিপ্লবীরা বিপ্লবীর মতোই সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে থাকুন।’

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
উপদেষ্টারা কেন তাদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করলে না?
উপদেষ্টারা কেন তাদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করলে না?
একাত্তর আর রাজনৈতিক বৈধতার মাপকাঠি হবে না: নাহিদ
একাত্তর আর রাজনৈতিক বৈধতার মাপকাঠি হবে না: নাহিদ
বিপ্লব ‘বেহাত’ হয়ে গেছে : রাশেদ খান
বিপ্লব ‘বেহাত’ হয়ে গেছে : রাশেদ খান