দেশ রক্ষার নির্বাচনে বিএনপিকে জিততেই হবে- আবদুস সালাম


বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেছেন, আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধুমাত্র তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর নির্বাচন নয়; এই নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন।দেশের স্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিএনপিকে জিততেই হবে, জিতার বিকল্প নাই।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নাটোর জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগ সাংগঠনিক টিমের প্রধান আবদুস সালাম বলেন, ‘আমাদের নেত্রী মিথ্যা মামলায় হেঁটে হেঁটে জেলখানায় গিয়েছিল কিন্তু স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তাকে (খালেদা জিয়া) কে জেলখানায় মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) বিছানায় শুয়ে হাসপাতালে এসেছেন; আমরা বারবার আবেদন নিবেদন করেছি সুচিকিৎসার জন্য। কারণ চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার। কিন্তু শেখ হাসিনা মানুষ ছিল না; সে ছিল মানুষরুপী শয়তান। সে এমন ভাষা ব্যবহার করেছিল যা বলতে আমাদের খারাপ লাগে। এতো বছর কেন বেঁচে আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার নেতা তারেক রহমান; যাকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। যার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল যেন আর কখনো দাঁড়াতে না পারেন। তারপরও যখন তিনি চিকিৎসাধীন বিদেশে; সেই সময়েও দেখেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কি অকথ্য ভাষায় বক্তব্যে দিয়েছে ‘
আবদু সালাম বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান কখনো শেখ মুজিবরের বিরুদ্ধে কথা বলেননি; তার ছেলে তারেক রহমান একজন মুসলমান হিসেবে শেখ মুজিবরের কবর জিয়ারত করতে গিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ ও নেতারা রাজশাদীর শেরেবাংলাস্থ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়ার ব্রীজ সরিয়েছিল পরবর্তী মাজার সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এটাই হলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য। আজকে বলতে চাই- যারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে এক করতে চান তারা হিসাব মিলিয়ে দেখুন?
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যদি তারেক রহমান চাইতো ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ শান্ত থাকতো না। শুধু তাই নয়; ২৪ সালের ছাত্র জনতার আন্দোলনে শরীক হয়ে বিএনপিসহ অন্যান্যদের এমন কেউ নাই যার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে খোঁজ খবর নেননি তারেক রহমান। এমন কোনো বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই আজকে আপনাদের কথা দিতে হবে; আপনাদের দায়িত্ব যদি আমার নেতা তারেক রহমান নিতে পারেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষের দায়িত্ব আপনারা নিতে পারবেন না? তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে- আমাদের নেতা ও বিএনপির ভার্বমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জোটে ও ভোটে ছিল। তাদের জন্য অনেককিছু বিএনপিকে সহ্য করতে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনো আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুই বলেননি। অথচ ২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লেগেছে। যেখানে আমাদের নেতা বলেছেন, আমাদের শত্রু বা প্রতিপক্ষ আপনারা নয়, ছাত্ররাও নয়। আমাদের প্রতিপক্ষ ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ। আপনারা বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে তাদের হাতকে শক্তিশালী করিয়েন না।’
দুপুরে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
নওগাঁ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম রেজুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন এবং বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিম বাদশাসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ এমপি