• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১১ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৫ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

আবারও বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। এই বিধিনিষেধের আওতায় ভারতের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটপণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করতে পারবেন না। শুধু দেশটির মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ রয়েছে।

এমন বিধিনিষেধ দিয়ে সোমবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে চারটি পণ্যের ওপর ভারত আমদানি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেগুলো হলো পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়, পাটের দড়ি বা রশি, পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি এবং পাটের বস্তা বা ব্যাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন এই বিধিনিষেধের ফলে এসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে হলে সমুদ্রপথে মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য পাঠাতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে উল্লেখিত এসব পণ্য যে পরিমাণ ভারতে রপ্তানি হয়, তার ১ শতাংশের কাছাকাছি যায় সমুদ্রপথে। বাকিটা স্থলপথে রপ্তানি হয়। ফলে বিধিনিষেধের কারণে মূলত এসব পণ্য রপ্তানির সহজ পথটি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) সভাপতি তাপস প্রামাণিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ যেন একে একে নিভিছে দেউটি। বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক হয়, এমন সব পদক্ষেপই নিচ্ছে ভারত। আমরা সরকারকে আগেও বলেছি, এখন আবার বলব যেন এসব বিধিনিষেধের বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।’ ভারত সরকার কি আলোচনায় বসতে রাজি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস প্রামাণিক বলেন, ট্রাম্প যদি পুতিনের সঙ্গে বসতে পারেন, তাহলে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কেন বসবে না? পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের উচিত হবে পাটপণ্য রপ্তানির জন্য ভারতের বিকল্প বাজার খুঁজে বের করা।

এর আগে গত ২৭ জুন আরেক প্রজ্ঞাপনে ডিজিএফটি বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বেশ কয়েক ধরনের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বিধিনিষেধ দেওয়া ওই সব পণ্যের মধ্যে ছিল—কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়। এর সঙ্গে নতুন করে আরও চার ধরনের পণ্য যোগ হলো গতকাল থেকে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে গত কয়েক মাসে কয়েক দফায় অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারত। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। তার আগে ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করেছিল দেশটি।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, ভারতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে। অন্যদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশ ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে। এর বড় অংশ শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য। ভারতীয় ভোগ্যপণ্যের বড় বাজার বাংলাদেশ।

ভিওডি বাংলা/ এমপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকায় জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণ
ঢাকায় জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণ
রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা
রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচনের সময় পুলিশের কাছে বডি ক্যামেরা থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনের সময় পুলিশের কাছে বডি ক্যামেরা থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা