• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

হাসিনা প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে : কর্নেল অলি

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৩৪ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম (অব.) বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বে দেশদ্রোহীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, অন্যথায় কখনও সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ শেখ হাসিনা ভারতে বসে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে এবং তার লোটাবাহিনীও সরকারের অভ্যন্তরে সক্রিয়।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মগবাজারের এলডিপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

অলি আহমদ বলেন,  অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে, যেসমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্বরত হবে, তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট গুন্ডাবাহিনীরা ভোট কেন্দ্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর কোন বিকল্প নাই। এই ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নতুনভাবে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

সরকারি/বেসরকারি স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থাগুলিতে কাজের চরম ধীরগতি। গত এক বছরে কোন কোন সংস্থা বা মন্ত্রণালয়ে কাজের তেমন কোন অগ্রগতি নাই বললেই চলে। উদাহরণস্বরূপ রাজউক।

সমগ্র দেশে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি। কিছু কিছু মন্ত্রণালয় দেউলিয়াপনায় ভুগছে। কারণ এখনও স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট অনেক কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে বসে আছে। পৃথিবীতে প্রথমবার শুনলাম, নির্বাচনের পূর্বে লটারির মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে বদলি করা হবে। মনে হয় অনেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। বদলির জন্য লটারী কোন সমাধান হতে পারে না। বরং বদলি করা হবে নির্দিষ্ট এলাকার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে। লক্ষ্য হওয়া উচিত অস্ত্রধারী এবং গুন্ডারা যেন নির্বাচন প্রভাবিত করতে না পারে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্নীতিবাজ এবং দেশদ্রোহীদের খুঁজে বের করতে হবে, তাদেরকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে বা যারা স্বৈরাচারদের সাহায্য করবে, তারা পরাজিত হবে এবং ভারতের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে।

তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে, দেশদ্রোহী আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক সদস্য শেষ পর্যন্ত তাদের পিত্রালয় ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তারা ভারতের সক্রিয় সাহায্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অফিস প্রতিষ্ঠা করে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার কাজে তারা লিপ্ত। অন্যদিকে ভারত সরকার বলে, আমরা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু এবং সুপ্রতিবেশী। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, বর্তমান ভারত সরকার বাংলাদেশের বন্ধু নয় বরং দেশদ্রোহীদের বন্ধু। এর পরিনাম ভারতের জন্য শুভ হবে না।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরো তৎপর থাকতে হবে। কারণ হাসিনার মদদপুষ্ট বড় বড় কয়েকজন ব্যবসায়ী এখনও ধরাছোঁয়ার বাহিরে। যথাশীঘ্র সম্ভব তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় দ্রব্যমূল্য কখনও স্থিতিশীল হবে না।

অলি বলেন, বিভিন্ন বেসরকারী ব্যাংক বিনা অজুহাতে তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরী থেকে বের করে দিচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টার উচিত এ ব্যাপারে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। বিগত এক বছরে কতজন নতুন চাকুরী পেয়েছে এবং কতজনকে ব্যাংক থেকে বের করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এ ব্যাপারে অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাশা করছি। অথচ দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও শেখ হাসিনার দালালেরা বহাল তবিয়তে আছে। অনেক উপদেষ্টা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

উপস্থিত ছিলেন এলডিপির মহাসচিব ড.রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল  আলম তালুকদার, লেঃ জেনারেল ড. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, ড.নেয়ামূল বশির, ড.আওরঙ্গজেব বেলাল, হামিদুর রহমান খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন মিয়াজী উপস্থিত ছিলেন।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না : পাটওয়ারী
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না : পাটওয়ারী
ধানের শীষে ভোট দিন, দেশ গড়ার সুযোগ দিন: তারেক রহমান
ধানের শীষে ভোট দিন, দেশ গড়ার সুযোগ দিন: তারেক রহমান
ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক