• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে: আতাউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২৩ পি.এম.
ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে কথা বলছেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। ছবি : ভিওডি বাংলা

জুলাই সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচন, অতীতের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ধারা থেকে বের হয়ে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে ভোট আয়োজন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সাত দফা প্রস্তাব নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের মুখপাত্র ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “একটি রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের পর অবশ্যই একটি সনদ হতে হবে এবং সেই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে কোনো অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না—এমন বার্তাই আমরা সিইসিকে দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রয়োজন, যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে কি না এবং রাজনৈতিক দলগুলো কতটা সুস্থ রাজনৈতিক চর্চায় অভ্যস্ত হয়েছে তা যাচাই করা যায়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সিইসি দায়িত্ব না থাকার কথা বললেও মাওলানা গাজী এটিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার আশঙ্কা জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, “আপনি যদি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে পারেন, তবেই কার্যক্রম শুরু করুন। অন্যথায় অতীতের নির্বাচন কমিশনারদের মতো আপনার পরিণতিও একই হবে।”

প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।

ইসলামী আন্দোলনের ৭ দফা প্রস্তাব:
১. সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা।
২. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের প্রশিক্ষণ ও আইনগত জবাবদিহির আওতায় আনা।
৩. প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনা সদস্য মোতায়েন।
৪. জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন।
৫. জনমতের শতভাগ প্রতিফলনের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতি চালু।
৬. আওয়ামী লীগ ও সহযোগী দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
৭. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও খুনিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই হবে। প্রধান উপদেষ্টার আশাবাদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা এই প্রস্তাব ও সতর্কবার্তা দিয়েছি।”

ভিওডি বাংলা/ আরিফ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে : গোলাম পরওয়ার
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে : গোলাম পরওয়ার
জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
দুর্নীতি আর দুবৃত্তায়নের কারণে জনগনের আস্থা হারাচ্ছে : গোলাম মোস্তফা
দুর্নীতি আর দুবৃত্তায়নের কারণে জনগনের আস্থা হারাচ্ছে : গোলাম মোস্তফা