ফেব্রুয়ারির নির্বাচন একতরফা হওয়ার সম্ভাবনা আছে : ফুয়াদ


বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ যেমন ১৮ এবং ৭৩ একতরফা নির্বাচন করে নিয়ে গেছে। এবারের নির্বাচনটা ফেয়ার, সুষ্ঠু নির্বাচনটাই একতরফা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ বিএনপির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাকে সিরিয়াসলি প্রতিটা আসনে কমপিট করার মতো কোনো প্রার্থী নাই। সেখানে সব দল যদি একত্রিত হয়ে যায়, তারপরও বিএনপির অ্যাগেনইস্টে ১০০ প্রার্থী দেওয়াও সিরিয়াসলি কঠিন হবে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনে না গেলে ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে পারে।
তিনি বলেন, তবে বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বিএনপি নিজেই। ১৩০-১৩৫ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আছে এবং তারা একে অপরের বিরুদ্ধে খুবই স্ট্রং। তাহলে সেই রকম একটা একতরফা সুষ্ঠু নির্বাচন কী বিএনপির জন্য সম্মানজনক হবে কিনা। বিএনপি ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছে। কেউ ছিল না।
ফুয়াদ আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর ভিতরে সিরিয়াস ইস্যু তৈরি হয়েছে যে, আমরা এগুলোতে একমত হয়েছি, বাস্তবায়ন কীভাবে হবে? বাস্তবায়নের ব্যাপারে কমিশন যে প্রস্তাব করেছে এটা আসলে বিএনপির প্রস্তাব। আগামী সংসদ দুই বছরের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু আমরা অনেকেই এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নয়।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, এরপর টেনশনের জায়গাগুলো হচ্ছে— জামায়াত এবং চরমোনাই হচ্ছে বিএনপির পরে সবচেয়ে বড় দুইটা দল। তারা যদি পিআরের বিষয়ে খুবই স্ট্রংলি থাকে যে, আমরা সংসদে পিআর চাই। উচ্চকক্ষ না হলে এখন যেভাবে আছে সেই সংসদেই পিআর হবে এবং তারা যদি এই ইস্যুতে নির্বাচন বয়কট করে। এনসিপি নিম্নকক্ষে পিআর চায় নাই। তারা যদি সংস্কার এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির ব্যাপারে তারা যদি এডামেন্ট থাকে তাহলে আলটিমেটলি যেটা হবে সেটা একতরফার দিকে চলে যাবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ