বিদেশি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসকের অনুমোদনহীন কার্যক্রম বন্ধের দাবি


ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এফএসএসবি) বিদেশি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসকদের অনুমোদনহীন কার্যক্রম বন্ধে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে।
সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফিরোজা বেগম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক রাশিদা বেগম ও সাইন্টিফিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মারুফ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, কিছু ভারতীয় বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ বিএমডিসির অনুমোদন না নিয়েই দেশে রোগী দেখছেন এবং ফার্টিলিটি মেলাকে ‘কালেকশন সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে চিকিৎসা শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে এবং সাধারণ রোগীরাও প্রতারিত হচ্ছেন।
এফএসএসবি জানায়, দেশে বর্তমানে এফসিপিএস ও এমএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রায় ৭০-৮০ জন তরুণ বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসক রয়েছেন, যারা আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে সক্ষম। অথচ তাদের উপেক্ষা করে বিদেশি চিকিৎসকদের অননুমোদিত কার্যক্রম রোগীসেবায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে।
সংগঠনটি আশঙ্কা করছে, কিছু বিদেশি চিকিৎসক অজ্ঞাতনামা ডোনারের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন, যা ইসলামী শরীয়াহ ও দেশের সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
এই পরিস্থিতিতে এফএসএসবি তিনটি দাবি উত্থাপন করেছে:
১. বিদেশি চিকিৎসকদের অনুমোদনহীন রোগী দেখা বন্ধে বিএমডিসিকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. বিদেশি ফার্টিলিটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত মেলা বা প্রমোশনাল কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
৩. গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
ভিওডি বাংলা/জা