পলাশবাড়ী উপজেলায় দুই কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ও হরিনাথপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন এবং রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগষ্ট) জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তার বরাবরে জনস্বার্থে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সদস্য ও মানবজমিন পত্রিকার পলাশবাড়ী প্রতিনিধি সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম রতন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায় উপ সহকারী ,কৃষি কর্মকর্তাদ্বয় পলাশবাড়ীতে যোগদানের পর পৃথক ভাবে তাদের পবনাপুর ও হরিনাথপুর ইউনিয়নে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই বেপরোয়া এই দুই কর্মকর্তার কৃষি প্রনোদনা তালিকা প্রস্তুত করনের ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মে জরিয়ে পরে।বিগত আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালে প্রকৃত কৃষকের তালিকা প্রনয়ন না করে সার ও বিজ প্রদান করেন আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে।
কৃষক না হলে ও তালিকায় অনেক ভুয়া কৃষকের নাম দেখিয়ে সার ও বীজ উত্তোলন করে কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও ইরি বোরো মৌসুমে সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের জন্য প্রস্তুতকৃত তালিকা প্রনয়নে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয় এই দুই কর্মকর্তার কাউকে চেনেন না ওই ইউনিয়নের কৃষকরা। কৃষক সমাবেশ, কৃষক প্রশিক্ষন সব তালিকাই মনগড়া মত প্রস্তুত করেন এই দুই কর্মকর্তা।
দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে পবনাপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন মন্ডল বলেন বিভিন্ন কারনে আমাকে বদলীর চেষ্টা করা হয়েছিলো আমি আমার বদলি ঠেকিয়েছি।আমার অপরাধ আমি দুই জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে খারাপ আচরন করেছি।
হরিনাথপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কায়সার মিশু সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মতামত গ্রহন করা সম্ভব হয় নি।
এদিকে এই দুই কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ ইমন মিয়া/ এমএইচ