ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে
গতিসীমা মানছে না বেশিরভাগ যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা


পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটারের দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও অধিকাংশ গাড়ি ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত গতিসীমা অমান্য করছে। ফলে সময় সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। গত দুই বছরে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
পদ্মাসেতুর পর শরিয়তপুরের জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে মাদারীপুর সড়ক বিভাগের অধীনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা থেকে কালকিনির ভুরঘাটা পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার অংশে ৪টি হাইওয়ে থানা থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
শিবচর হাইওয়ে থানা ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছরে বড় দুর্ঘটনার মধ্যে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ মহাসড়কের শিবচরের কুতুবপুরে ইমাদ পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যায় ১৯ জন। ওই বছরের ২৪ জুন মালিগ্রামে অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যু হয়।
২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সূর্য্যনগরে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে মারা যায় ৪ জন এবং ২০ মার্চ ডোমরাকান্দিতে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জন মারা যায়। এছাড়াও চলতি বছর মহাসড়কের শিবচর, পাঁচ্চর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে অন্তত ১ ডজনেরও বেশি তরুণ!
এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের বন্দরখোলা এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, বেশির ভাগ যানবাহনই ওভার স্পিডে চলে। তাছাড়া মোটরসাইকেলের যেন প্রতিযোগিতা হয় এখানে। কিছুদিন আগেও এক সাথে ৮/১০ টি মোটরসাইকেল অ্যাকসিডেন্ট করে। একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়! তাছাড়া, প্রায়ই মারা যাচ্ছে দুর্ঘটনায়।
ট্রাক চালক মো.মতিউর বলেন, মহাসড়কে অতিরিক্ত গতির কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। তাছাড়া মোটরসাইকেলগুলো সবচেয়ে বেশি অনিয়ন্ত্রিত গতিতে চলে। নিয়ম মেনে না চললে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রতিদিনই গতি নিয়ন্ত্রণ ও মামলা দিচ্ছি। চালক ও পথচারীর সচেতনতা বাড়ানো গেলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।”
ভিওডি বাংলা/জা