৫ বছরেও হয়নি সড়ক মেরামত, এলাকাবাসীর উদ্যোগে সংস্কার


মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পাঁচখোলা গ্রাম। এই গ্রামের ৫০০-৬০০ পরিবার যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে আব্বাস মাতুব্বরের বাড়ির সেতু থেকে ইতালি ব্রিকস্ পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা। রাস্তাটি গত বছরেও হয়নি কোনো সংস্কার। এতে একদিকে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত, অন্যদিকে খানাখন্দ। এই দুই সমস্যার কারণে পুরো সড়কটি এখন মরণফাঁদ। ভোগান্দিতে বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করে। বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারী, যাত্রী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অথচ, সড়ক সংস্কার করতে একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান কিংবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়েও কোনো সমাধান হয়নি। তাই স্থানীয়দের ব্যক্তিগত অর্থায়নে পুরো সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলে অর্থাভাবে আটকে আছে এর কার্যক্রম। দ্রুত সড়ক সংস্কারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী। করা হয়েছে সমাবেশ ও মানববন্ধনও।
স্থানীয় বাসিন্দা মিরজিন হাওলাদার বলেন, আমাদের এখানকার সড়কটি মরণ ফাঁদ। এক থেকে দেড় ফুট গর্ত রয়েছে সড়কটিতে। হাঁটাচলা করাও দায়। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, এমন সড়ক দেশের অন্য কোথায় আছে কিনা জানি। পুরো সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ। যানবাহন চলাচলও বন্ধ। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতেও পারছি না। প্রশাসনের উচিত দ্রুত সড়কটি মেরামত করা।
সাগর ফকির বলেন, জনপ্রতিনিধি আসে, জনপ্রতিনিধি যায়, কিন্তু আমাদের সড়কের কোনো উন্নয়নই হয়নি। আমরা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। কবে আমাদের এলাকার রাস্তাটি আলোর মুখ দেখবে জানি না।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব জানান, সড়কটি কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। খুবই নাজুক অবস্থা। উপজেলা পরিষদ কিংবা উপজেলা এলজিইডির মাধ্যমে সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, সেক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে।
এলজিইডির মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্তনিয়া বলেন, বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। কোনো প্রকল্পও নেই। সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং বরাদ্দ পাওয়া গেলে সড়কটি সংস্কার করা যেতে পারে। তবে, সেটিও সময়ের ব্যাপার।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ