আজ বিশ্ব মশা দিবস


প্রতি বছর ২০ আগস্ট বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব মশা দিবস। দিনটির উদ্দেশ্য হলো মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
১৮৯৭ সালের ২০ আগস্ট ব্রিটিশ ডাক্তার রোনাল্ড রস প্রমাণ করেন যে অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার পরজীবী বহন করতে পারে। এ আবিষ্কারের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান। পরবর্তীতে দিনটিকে বিশ্ব মশা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য: ‘একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্বের জন্য ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই ত্বরান্বিত করা’। এর মাধ্যমে বিশেষ করে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সমান সুযোগে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগ একটি বড় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি। গবেষণা অনুযায়ী দেশে এখন পর্যন্ত ১২৬ প্রজাতির মশা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকায় সক্রিয় রয়েছে ১৪–১৬ প্রজাতি। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও জাপানিজ এনকেফালাইটিস এখানে প্রধান মশাবাহিত রোগ।
ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু ধরা পড়ে ১৯৬৩ সালে, তবে ২০০০ সালে বড় আকারে প্রাদুর্ভাব ঘটে। ২০১৯ সালে এটি মহামারী রূপ নেয়, যখন এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় এবং ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, একসময় দেশের ৩৪ জেলায় ব্যাপকভাবে দেখা দেওয়া ফাইলেরিয়া বা গোদরোগ বর্তমানে সরকারের বিশেষ কর্মসূচির কারণে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানায়, প্রতি বছর কোটি মানুষ ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগ নয়, নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা, মশারি ব্যবহার, বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা ও দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ভিওডি বাংলা/জা