মধ্যরাতে উত্তাল কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়
স্থায়ী ক্যাম্পাস দাবিতে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা


এক দফা এক দাবি, ক্যাম্পাস আমার অধিকার এই স্লোগানে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় উত্তাল হয়ে ওঠে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ছাত্রসংসদ) নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়ে আন্দোলনে নামে।
এর আগে বিকেল সোয়া ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রেজিস্ট্রার নাইলা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ শেয়ার করা হয়। নোটিশে বলা হয়, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ কেন্দ্রে অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা চলমান থাকায় ১৯৮০ সালের ৪২ নম্বর আইন অনুযায়ী ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট বন্ধ রাখা, ব্যক্তিগত ও পাবলিক পরিবহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং প্রয়োজন ছাড়া প্রবেশ সীমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় অফিসসহ বেশ কয়েকটি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া ও কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ইতিমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের অনুমতিও পাওয়া গেছে। তবুও প্রশাসন বলছে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও ৭-৯ মাস লাগবে। অন্যদিকে গুরুদয়াল কলেজ ভবনে যে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে, তারও কোনো চুক্তি নেই। কলেজ চাইলে যেকোনো সময় সরে যেতে হবে। অথচ বিকল্প কোনো অস্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়েও প্রশাসন ভাবছে না।
তাই শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাস দ্রুত নির্মাণ, বিকল্প অস্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন ঘোষণা করেছে।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাফীউল মুজনীবিন বলেন, “দুর্বল প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন অবস্থায় আমরা শোকাহত। সেই মেরুদণ্ড পুনর্গঠনের জন্যই ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব বর্জন করছি। ১ বছরে একবারও শিক্ষার্থীদের কথা শোনেনি প্রশাসন। আজকের পদক্ষেপ দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুতই ইউজিসির সঙ্গে কথা বলা হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ