সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে নিখোঁজে রাষ্ট্র নয় অন্য রহস্য আছে : রিজভী


সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের নিখোঁজ হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা নিশ্চিত এ সরকারের শাসনামলে আমরা কেউ গুম হবো না, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হবো না। এ অন্তবর্তীকালীন সরকার সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের নিখোঁজে জড়িত নয়। এ নিখোঁজের সাথে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা খুঁজে বের করতে হবে। এতে কোন আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত কিনা তাও সরকারকে উদঘাটন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের মত আর গুমের শিকার হতে চাই না। আগের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম এবং মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের রোগমুক্তি কামনায় এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, অনেক ক্লান্তিকাল অতিক্রম করে আজ একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আমরা এসেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে তা সমাপ্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে অযৌক্তিকভাবে পিআর পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ এ পদ্ধতির সাথে পরিচিত নয়। আমাদের দেশে এটি অনেক কঠিন ব্যাপার। কেনো এ পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে? যে ভোটাধিকারের জন্য এত সংগ্রাম, এত রক্ত বিলিয়ে দেওয়া হলো সে ভোটের পদ্ধতি নিয়ে কেনো এত লুকোচুরি? ভোটাররা প্রার্থী নির্বাচিত না করে দলকে নির্বাচিত করলে রাজনৈতিক দল কৃর্তত্ববাদী হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ চিনবে না। অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ী এবং বিতর্কিতরা এমপি হয়ে যাবে। জনগণ তার পছন্দের মানুষকে নির্বাচিত করতে পারবে না। জনগণকে অগ্রাহ্য করে এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। কারণ, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংস করে দিয়েছে। ন্যায় বিচার, আইনের শাসন দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে। হাসিনার রেখে যাওয়া দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে ওৎপেতে আছে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, মেগা প্রজেক্টের নামে ৬৮ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ খরচ করা হয়েছে। এর জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি অডিট হওয়া দরকার। সবজায়গায় মহাদূর্নীতি। এগুলো কারা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহবায়ক সুমন ভূইয়ার সভাপতিত্বে সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ