পিআর পদ্ধতি নির্বাচন সর্বস্তরের নাগরিকদের ভাবনার বিষয় : সোলাইমান


এনবিআরের সাবেক মহাপরিচালক ও আমার বাংলাদেশ পাটি প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এএফএম সোলাইমান চৌধুরী বলেছেন, কার ফায়দা আর কার লাভলস- পিআর পদ্ধতিতে ভোট কার স্বার্থে '? পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা কী? এই পিআর পদ্ধতি ঘিরে রয়েছে দেশের অবস্থাকে ঘোলাটে দিকে নিয়ে যাবার ষড়যন্ত্রের চক্রান্ত! সেই সাথে নির্বাচনকে ঘিরেই আসছে নতুন একটি মহা - সংকটের মুখে দিয়ে- নির্বাচনকে বাঁধা গ্রস্তের আলামত পাওয়া যাচ্ছে!
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকালে নিজ বাসভবনে একান্ত আলাপকালে পিআর পদ্ধতি নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা করেন সাবেক এই সচিব এএফএম সোলাইমান চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন এর সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার ।
এএফএম সোলাইমান চৌধুরী বলেন, পিআর পদ্ধতি নির্বাচন ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে, আমাদের বর্তমানে যে পদ্ধতিতে গণতন্ত্র চালু আছে তাহা সংসদীয় গণতন্ত্র বলে, এই সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদে ৩০০ আসন রয়েছে , আর মহিলাদের জন্য ৫০ টি আসন রিজার্ভ আছে, সেইখানে সংখ্যা অনুপাত অনুসারে মহিলাদের আসন বন্টন করে থাকে, সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মধ্যে যে দল ১৫১ টি আসন পাবে সেই দল সরকার গঠন করেন, যদি কম পান তাহা হলে ঝুটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করে, এইভাবে চলে আসছে বর্তমান অবস্থা, বর্তমান অবস্থা আবার কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতিও আছে, ক্ষমতাসীন দল বা জোটবদ্ধ সরকার নানান ভাবে বিরোধী দলকে অন্যায় ভাবে অগণতান্ত্রিকভাবে নাস্তানাবুদ করে থাকে। গণতন্ত্রের জন্য কাম্য নয়, গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়, গণতন্ত্রের মূল বিষয় হলো সরকার ক্ষমতায় থাকবে আর বিরোধীদল সরকারের ভুলক্রটি গুলো সমালোচনা করবে, এটাই গণতন্ত্রের মূল সৌন্দর্য, সরকারের ভুল গুলো তুলে ধরলে তাহা সরকার সংসদে সংশোধন করবে,
আর পিআর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর হচ্ছে নির্বাচনি ব্যবস্থার এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে।যদি কোন দল মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১ শতাংশ পায়, তাহলে সেই দল আনুপাতিক হারে সংসদের ৩টি আসন পাবে,যথা এই ভাবে কোন দল ১০শতাংশ বা ৩০টি আসন পাবেন। এই ভাবে আসন বন্টন হবে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে অসুবিধা হল জনগণ যাকে পছন্দ করে ভোট দিয়েছে সেই ব্যক্তি সংসদে নাও যেতে পারেন, এমনকি তিন চারটি নির্বাচনেও একই ব্যক্তি বারবার সংসদ সদস্য হয়ে যাবে, জনগণের পছন্দ প্রতিনিধি থাকবে না, এখন কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই, আর কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইনা তাহা জনগণ ঠিক করবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ