বিয়ে করলেই যেসব দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়


বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস বা নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্ন অনেকের। কেউ ভালোবাসার টানে ভিনদেশি জীবনসঙ্গী বেছে নেন, আবার কেউ বিদেশে পড়াশোনার সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে বিশ্বের সব দেশে বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কিছু দেশে বিয়ে সূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ রয়েছে।
তুরস্ক: মুসলিম দেশ তুরস্কে বিয়ের পর ৩ বছর একসঙ্গে থাকলেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। তুরস্কের পাসপোর্টে বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া যায়।
সুইজারল্যান্ড: সুইজ নাগরিকের সঙ্গে ৩ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক থাকলে পাঁচ বছরের বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। আবেদন করতে হলে সুইস ভাষা ও সংস্কৃতির জ্ঞান, অপরাধমূলক রেকর্ডের শূন্যতা এবং বৈধ দাম্পত্য সম্পর্কের প্রমাণ থাকতে হবে।
সার্বিয়া: বৈধ নাগরিকের সঙ্গে ৩ বছরের বিবাহিত সম্পর্ক ও স্থায়ী বসবাসের পর সার্বিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। নাগরিকত্ব পেলে ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাতায়াত সহজ হয়।
ইতালি: ইতালির নাগরিককে বিয়ে করে দেশটিতে দুই বছর বসবাস করলে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। দেশটির বাইরে থাকলে সময়সীমা ৩ বছর। সন্তান থাকলে সময় অর্ধেক হয়।
পোল্যান্ড: পোল্যান্ডের নাগরিককে বিয়ে করার ৩ বছর পর এবং দেশটিতে টানা ২ বছরের বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা সম্ভব। তবে পোল্যান্ডের ভাষা জানা আবশ্যক।
স্পেন: স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করে এক বছরের বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। স্পেনের নাগরিকত্ব পেলে লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন, পর্তুগালসহ কিছু দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া যায়।
ফ্রান্স: ফরাসি নাগরিককে বিয়ে করে ৪ বছর একসঙ্গে থাকা ও ফ্রান্সে বসবাস করলে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। ফ্রান্সের বাইরে বিয়ে করলে সময়সীমা আরও দীর্ঘ হয়।
ব্রাজিল: ব্রাজিলের নাগরিককে বিয়ে করে এক বছরের টানা বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বজায় রেখে ব্রাজিলের নাগরিকত্ব নেওয়া সম্ভব। নাগরিক হলে রাশিয়াসহ কিছু দেশে ভিসা ছাড়া যাতায়াত করা যায়।
অন্যান্য দেশ: পর্তুগাল, কেপ ভার্ড, আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোতে নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।
ভিওডি বাংলা/জা