তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ী সমাধান চান প্রধান বিচারপতি


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধুমাত্র সাময়িক সমাধান হিসেবে ফিরিয়ে দিতে চায় না, বরং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে স্থায়ী সমাধান চায়। এতে এই ব্যবস্থা বারবার বিঘ্নিত হবে না এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রাখবে।
এই সময়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলে এটি কবে থেকে কার্যকর হবে?” বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, একজন আইনজীবী হিসেবে তিনি এর সঠিক জবাব দিতে পারছেন না।
বুধবার (২৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) চারটি আবেদনের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির; রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এ বিষয়টি দীর্ঘ ইতিহাসের। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৯৬ সালে। এর বৈধতা নিয়ে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট এই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধ ঘোষণা করে। এর পরের আপিল প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেয়।
রায়ের পর ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এরপরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামী নেতা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন।
ভিওডি বাংলা/জা