ভিপি নুরুর ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: এ্যানি


গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। দালাল বাজার ফাতেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ্যানি বলেন, “৫ আগস্টের পর এক বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা কি এখনও সেই ঐক্যের জায়গায় আছি, যে ঐক্য নিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি? আমি তা দেখি না। কেন আজ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে রক্তাক্ত হতে হলো? কারা এ আঘাত করেছে তা খুঁজে বের করতে হবে। এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এবং সামনে ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হওয়ার কথা, তার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।”
তিনি আরও বলেন, “হাসিনার অত্যাচার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি ছিল না। সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেনি। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি, জেল-জুলুম, গুম ও খুন করা হয়েছে।”
জামায়াতের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ঐক্যের মধ্যে যদি বিন্দুমাত্র ফাটল সৃষ্টি হয়, সুযোগটা নেবে ফ্যাসিস্টরা। সুযোগ নেবে ষড়যন্ত্রকারীরা, যারা দেশের শত্রু। তাই জুলাই আন্দোলনের প্রজন্ম ও সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক শক্তিকে আবারও দৃঢ় ঐক্যে আবদ্ধ হয়ে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।”
সম্মেলনে সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল করিম ভূঁইয়া মিজান সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, হাফিজুর রহমান, আবুল হাশেম, হারুনুর রশিদ বেপারী এবং সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১৩ বছর পর এ উপজেলায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।
ভিওডি বাংলা/জা