গাজায় গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ ৫৯ জন নিহত


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রতিদিন রক্তক্ষয় চলছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) অন্তত ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটির শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনারা ব্যাপক অভিযান চালালে এক গর্ভবতী নারী ও তার অনাগত শিশুসহ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা ও আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে শুধুই শিবির নয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চল জায়তুন ও সাবরা এলাকায়ও হামলা চালানো হয়েছে। এই এলাকায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। গত এক মাস ধরে চলা অভিযানে এক হাজারেরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে।
নাসের স্ট্রিটের ব্যস্ত বাজারে বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। আল জাজিরার সাংবাদিক মোয়াথ আল-খালুত জানান, শহরের প্রতিটি কোণায় হামলা চলছে, মানুষ জানে না কোথায় যাবে বা কোথায় আশ্রয় নেবে।
দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-মাজরা স্কুলেও হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা ছিলেন। আল-আকসা মার্টিয়ার্স হাসপাতাল পরে আনাস সাঈদ আবু মুগসিবের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
যুদ্ধের পাশাপাশি গাজায় প্রকট হয়ে উঠেছে দুর্ভিক্ষ। জাতিসংঘ একে ‘মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ’ আখ্যা দিয়েছে। সোমবার খাদ্যসংকটে আরও তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা সংঘাতে ক্ষুধা ও অনাহারে প্রায় ৩৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার এক-তৃতীয়াংশ শিশু।
বর্তমানে গাজায় যে মানবিক সহায়তা পৌঁছে যাচ্ছে, তা প্রয়োজনের মাত্র ১৫ শতাংশ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন সংস্থার (আইপিসি) দুর্ভিক্ষ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করে একে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ দাবি করেছিলেন।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, ইসরায়েলের সহায়তা আটকে রাখা ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ এবং এটি একবিংশ শতাব্দীর মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ। তিনি জরুরি মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/জা