• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

রাজবাড়ীতে কবর গুড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি    ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৯ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মেহেদী’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে নূরাল পাগলের কবরকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচুতে নির্মিত এবং পবিত্র কাবা শরীফের আদলে সাজানো এ কবরকে ইসলামী শরীয়তের পরিপন্থী উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির নেতারা।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী বৃহস্পতিবারের (১১ সেপ্টেম্বর) মধ্যে কবর স্বাভাবিক না করা হলে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচির মাধ্যমে কবর গুড়িয়ে দেওয়া হবে। এর আগে আগামী শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জেলার পাঁচ উপজেলার তৌহিদী জনতাকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজবাড়ী জেলা ইমাম কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মো. ইলিয়াস আলী মোল্লা। তিনি বলেন, আশির দশকে ভণ্ড নূরাল পাগল নিজেকে ইমাম মেহেদী দাবি করে কালেমা, আজান ও ধর্মীয় অনুশাসন বিকৃত করেছিলেন। আন্দোলনের মুখে ১৯৯৩ সালে মুচলেকা দিয়ে এলাকা ছাড়লেও পরে আবার দরবারের কার্যক্রম চালু করেন। মৃত্যুর আগেই তিনি কাবা শরীফের আদলে উঁচু বেদি নির্মাণ করেন এবং গত ২৩ আগস্ট মৃত্যুর পর ওই বেদিতেই বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাকে দক্ষিণমুখী মাথা দিয়ে দাফন করা হয়েছে, যা ইসলামী শরীয়তের পরিপন্থী।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় কবর স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান না হলে ৫ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ এবং ১২ সেপ্টেম্বর কবর গুড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, নূরাল পাগলের বড় ছেলে নূর তাজ খ্রিষ্টধর্ম প্রচার করছে এবং মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করছে। এতে জনমনে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়ছে। নেতারা বলেন, নূরাল পাগলের কবর গোরস্থানে পুনরায় দাফন করতে হবে, নইলে ধর্মবিরোধী কার্যক্রম চলতেই থাকবে। দাবি না মানলে কবর ও আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম, ডা. আবুল হোসেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চৌধুরী আহসানুল করিম হিটু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজবাড়ী জেলা শাখার সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ওলামাদল জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনাস খান, খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ নোমানী, রাজবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সচিব মোবাইদুর রহমান মিরাজ, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মো. নাসির মিয়া, এনসিপির সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মামুন, খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মুফতি আবু তাহের, খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি আ. গাফফার, ইমাম হাফেজ মাওলানা আ. কুদ্দুস মিয়াসহ আরও অনেকে।

পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর পর নূরাল পাগলকে দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে ওই উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়। প্রথমে কবর কাবা শরীফের আদলে রঙ করা হলেও আন্দোলনের মুখে পরে সেই রং পরিবর্তন করা হয়। তবে এখনও কবর স্বাভাবিক করা হয়নি।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নাগরপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
নাগরপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
সংঘর্ষের পর ইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ
সংঘর্ষের পর ইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ
শ্রীপুর উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত