• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

আদাবরে হামলার পর

নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ

ভিওডি বাংলা ডেস্ক    ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৯ পি.এম.
বাংলাদেশ পুলিশ। সংগৃহীত ছবি

১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন আসে আদাবর থানায়। কলকারীর অভিযোগ, শ্যামলী হাউজিং এলাকায় এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাকে উদ্ধার করতে হবে।

অভিযোগ পেয়ে আদাবর থানা থেকে চার সদস্যের একটি দল ১০ নম্বর রোডের দিকে রওনা দেয়। পুলিশ যুবককে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করলে ৮–১০ জনের একটি দলে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কনস্টেবল আল-আমিনকে দা দিয়ে কোপানো হয় এবং পুলিশ ভ্যান ভাঙচুর করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সোমবারের ঘটনার পর আমরা আলোচনা করছি, জরুরি কলের সময় কীভাবে নিরাপদে কাজ করা যাবে। আমাদের মধ্যে ভয় কাজ করেছে। সাধারণত পেট্রোল টিমে চার-পাঁচজন থাকেন। কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনার সময় আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে?”

গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সারা দেশে পুলিশ ও থানা কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন ভীতি তৈরি হয়েছে। নিরস্ত্র মানুষ ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় থানা ও পুলিশ প্রায়ই জনরোষের মুখে পড়ে।

ডিএমপির এক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, “৯৯৯ থেকে কল পেলে আমরা ঘটনাস্থলের বিস্তারিত চেষ্টা করি। যদি মব বা নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, কর্মকর্তারা সেখানে যেতে অনিচ্ছুক হন। তখন অন্তত দুটি পেট্রোল টিম পাঠানো হয়।”

ঢাকা জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক বলেন, “শহরে পরিস্থিতি তুলনামূলক সহজ, কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে যাওয়া কঠিন।”

একই ধরনের ঘটনা নরসিংদীর শিবপুরে ঘটেছে। ১২ জুলাই রিনা বেগম ও তার আত্মীয়দের ওপর হামলার পরে তারা ৯৯৯-এ ফোন করেন, কিন্তু পুলিশের সাড়া পাননি। রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় গিয়ে সহযোগিতা না পাওয়ায় তারা হাসপাতালে ভর্তি হন।

অন্যান্য অভিযোগও রয়েছে, যেখানে জরুরি সেবায় পুলিশ টাকা দাবি করেছে বা ফোনে মীমাংসা করতে চেয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ১৮ জুলাই গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে, যেখানে সুমাইয়া বখত তার মেয়ে উদ্ধারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ৯৯৯-এ ফোন করেন, পরে ছয় সদস্যের দল ঘটনাস্থলে আসে এবং অভিযোগ আছে তারা টাকা নিয়েছে। তবে সহকারী উপপরিদর্শক মহসিন আলী সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জাতীয় জরুরি সেবার (৯৯৯) মিডিয়া শাখার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সব কলের জবাব দিতে। কিন্তু লজিস্টিক বা পরিবহন সংকটের কারণে কখনও দেরি হয়। পেট্রোল টিম একাধিক ঘটনার দায়িত্ব নিতে গেলে অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি হয়।”

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় জরুরি সেবা হেল্পলাইনে প্রায় ৬ কোটি ২৩ লাখ ফোনকল এসেছে। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৭২ লাখ কলকারীকে জরুরি সেবা প্রদান করা হয়েছে। বাকি কলগুলোর ৫৬.২৭ শতাংশ ছিল ব্ল্যাংক কল।

ভিওডি বাংলা/ আ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কুড়িলে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
কুড়িলে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
আগস্টে ৪৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ৫০২
আগস্টে ৪৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ৫০২
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের ‘বিশেষ’ বৈঠক দুপুরে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের ‘বিশেষ’ বৈঠক দুপুরে