পাকুন্দিয়ায় বিএনপি নেতার মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া


কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি কামাল উদ্দিনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ওই বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ, এর বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
এ সময় জালাল উদ্দিন বলেন, কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী জামিনে বের হয়েছেন, তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মকবুলও হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। আমার কাছে সব ডকুমেন্টস আছে। মিথ্যা অভিযোগ করলেই সেটা সত্যি হয়ে যায় না।
তিনি বলেন, “ভিপি কামাল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
এ সময় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম জুয়েল, এপিপি অ্যাডভোকেট আরিফুল রহমান সেলিম, অ্যাডভোকেট মাজহারুল হক, অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা কবিতা, অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম চঞ্চল, অ্যাডভোকেট কোভিদ হোসেন সুমন, অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন খান মার্শল, অ্যাডভোকেট ম. সালেহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের ঈদগাহ মাঠে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিপি কামাল অভিযোগ করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বর্তমান পিপি জালাল উদ্দিন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা টাকার বিনিময়ে জামিন পাচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মকবুল হোসেনকে জামিন করাতে ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ