পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ)
অন্যের উপকার করা যিনি পরম কর্তব্য মনে করতেন : মির্জা ফখরুল


বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বিশ্বজগতের এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আবির্ভাবের দিন। এই শিশুর শুভাগমণ সারা দুনিয়াকে নাড়া দেয়। এই দিনটি নবীজির জীবনে মূল্যবোধ, যেমন সততা, নম্রতা, উদারতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তাঁর দেখানো পথে চলার অনুপ্রেরণা লাভের এক মহিমান্বিত মূহুর্ত। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বৃহস্পতিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর ) পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্বমানবের নিকট এক অসাধারণ আলোকবর্তিকা, শান্তি-সংগ্রাম-সম্প্রীতির আধার চরম সত্যবাদী ও পরম বিশ্বস্ত হযরত মোহাম্মদ (সঃ)। তাঁর কালজ¦য়ী মূল্যবোধ, মানবতা, সহমর্মিতা, উদারতা, মানুষের প্রতি সহানুভুতি মানবজাতির নিকট এক পরম শিক্ষা হয়ে থাকবে। কৈশোরকাল থেকেই তিনি মিথ্যার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা, যিনি কোনদিন আমানতের খেয়ানত করেননি, অন্যের উপকার করা যিনি পরম কর্তব্য বলে মনে করতেন। বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মহানবী (সঃ)। পরম সত্যের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত লাভ করেন।
তিনি বলেন, কঠোর পরিশ্রমী প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি তাওহিদের বাণী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করেও। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন মহানবীর (সাঃ) উপর অবতীর্ণ করেন, যা মানব জাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুক্তির যাবতীয় নির্দেশাবলী অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষকে পরিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল করে তোলে। তাঁর জীবন ও কর্ম অনুসরণের মাধ্যমে মুসলিমরা শৃঙ্খলিত মানুষের মুক্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠাসহ নিজেদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করার অনুপ্রেরণা পায়।
আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরসালিন হযরত মোহাম্মদ (সঃ)‘র প্রতি সালাম জানাই।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ