নুরের ওপর হামলা উদ্দেশ্যমূলক: মির্জা আব্বাস

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকে উদ্দেশ্যমূলক দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, নুরের ওপর গুরুতর শারীরিক জখমের কারণে সরকারকে দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুরুল হক নুরকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি বিদেশে থাকাকালীন নুরের ওপর হামলার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছিলাম। এখানে এসে যা জানলাম এবং যা দেখলাম, তাতে মনে হচ্ছে হামলাটা খুবই উদ্দেশ্যমূলক। এটা সাধারণ মারামারি নয়, বরং নৃশংস ও অমানবিক আঘাত। মাথা ও মুখের ওপর এমন হামলার পেছনে বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল কি না, সেটার তদন্ত হওয়া দরকার। কারা, কেন এ হামলা করেছে এবং এর উদ্দেশ্য কী তা বের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বলেছে নুরকে বিদেশে পাঠাবে, এটা ভালো খবর। কিন্তু দেরি করা ঠিক হচ্ছে না। এ ধরনের ঘটনায় বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুত বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। প্রতিদিন দেরি হলে ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়বে। নুর এখন প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিক নিচ্ছে কিন্তু দীর্ঘদিন তা চালানো সম্ভব নয়।
চিকিৎসার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মত দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, শুধু বিদেশে পাঠালেই হবে না। চিকিৎসকরা যেসব স্থানে আঘাত পেয়েছেন তা শনাক্ত করেছেন। এখন কোন দেশে এর সর্বোত্তম চিকিৎসা সম্ভব, সেখানে পাঠানো উচিত। আমার মতে, জার্মানিতে পাঠানো সবচেয়ে ভালো হবে। সিঙ্গাপুর বা ব্যাংককে এ ধরনের ট্রিটমেন্ট তেমন মানসম্মত হবে না। সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নুরকে সুস্থ হয়ে আবার জনগণের মাঝে ফিরে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের জন্য নুর অনেক কাজ করেছে। আল্লাহ তাকে সুস্থ করে তুলুন, যাতে সে আবার দেশের কাজে নিয়োজিত হতে পারে। সরকারকে বলব, কেবল বিদেশে পাঠানো নয়, বরং সঠিক দেশে, সঠিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, নুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। প্রথমে তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মাথা, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমপি