• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

রাজনৈতিক ঐক্য ছাড়া পাথর লুট ঠেকানো সম্ভব নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৪ পি.এম.
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান-ছবি সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সিলেটের পাথরমহাল এলাকাগুলো থেকে দীর্ঘদিন ধরেই পাথর উত্তোলন করছিল এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী। অথচ এখন বলা হচ্ছে, এসব কার্যক্রম নাকি ৫ আগস্টের পর শুরু হয়েছে। বাস্তবে নির্বিঘ্নে বহু আগে থেকেই এসব এলাকায় পাথর উত্তোলন চলছিল।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত “ঢাকার জলাধার পুনরুদ্ধার: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক নগর সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান জানান, সিলেটের অন্তত ছয়টি জায়গায় অবাধে পাথর উত্তোলন হচ্ছিল। ২০০৯ সালে এ বিষয়ে প্রথম মামলা করেন তিনি। এর আগেই প্রায় দুই বছর ধরে উত্তোলন চলছিল। দীর্ঘ মামলা ও আন্দোলনের পর ২০২০ সালে জাফলং-এ পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়। সরকারের উদ্যোগে বাকি জায়গাগুলোতেও কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আবারও লুটপাট চালুর চেষ্টা শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, “এখন বলা হচ্ছে, কয়েক দিনে ৩০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। অথচ ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকার রাজস্ব পেয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকা। প্রকৃত মূল্য ও রাজস্বের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই। লুটেরাদের আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি।”

রিজওয়ানা হাসানের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট পাথরের চাহিদার মাত্র ৬ শতাংশ আসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে, বাকিটা আমদানি করা হয়। তিনি প্রশ্ন রাখেন- “তাহলে কেন এই ছয়টি জায়গা সংরক্ষণ করা গেল না?”

ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যানের অভাবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী ভারতে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করে পর্যটন শিল্প উন্নয়ন করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে জাফলংসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো এখনো সংরক্ষিত হয়নি।

রাজনৈতিক ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া প্রশাসন কাজ করবে না। প্রশাসন সহযোগিতা না করলে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করা সম্ভব নয়। জনগণ প্রতিবাদ শুরু করার পরই আমরা সিলেটে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।”

তিনি আরও জানান, পাথর সরাসরি তার মন্ত্রণালয়ের আওতায় না পড়লেও সিলেটের ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন।

বাকখালী নদীর দূষণের প্রসঙ্গ টেনে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “যেভাবে আমরা সাদা পাথর নিয়ে কথা বলি, ঠিক সেভাবেই বাকখালী নদীর দূষণ নিয়েও কথা বলতে হবে। পাঁচ দিনের উচ্ছেদ পরিকল্পনা প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখে তিন দিনে সীমিত করতে হয়েছে। দুই দিন উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা রাজনৈতিক সমর্থন নিয়ে বাকখালী নদী অবশ্যই দখলমুক্ত করব।”

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মহানবী (সা.) ছিলেন সমগ্ৰ বিশ্বজগতের জন্য রহমত : প্রধান উপদেষ্টা
মহানবী (সা.) ছিলেন সমগ্ৰ বিশ্বজগতের জন্য রহমত : প্রধান উপদেষ্টা
মিরপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২
মিরপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেড় লাখ পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেড় লাখ পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ